দুদক বিরক্ত করলে অসুবিধা আছে : গণপূর্তমন্ত্রী

Slider টপ নিউজ

d6324592d202c02142f1d41cde475295-21

ঢাকা; অর্থ আত্মসাতের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দুই জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘দুদক রাজউকে যাবে। কিন্তু যদি বিরক্ত (ডিস্টার্ব) করার জন্য যায় তাহলে অসুবিধা আছে।’

আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় রাজউকের দুই জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলীকে ২৯ আগস্ট রাতে গ্রেপ্তার করে দুদক। এঁরা হচ্ছেন উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক ছাইদুর রহমান এবং রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী, গুলশান-বনানী–বারিধারা ও উত্তরা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মনোয়ারুল ইসলাম।

ঘটনার পরদিন থেকেই তাঁদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করতে থাকেন। ঘটনার তৃতীয় দিনে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা এক পর্যায়ে দুদক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেই হয়রানির অভিযোগ তোলেন। এ অবস্থায় গণপূর্তমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তিনি রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দেন। পরবর্তী সময়ে দুদকের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভে উদ্বেগ জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

আজকের অনুষ্ঠানে বিষয়টি সম্পর্কে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকেরা। মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কী আপনি রাজউকে দুদকের অভিযানকে নিরুৎসাহিত করছেন? এর জবাবে মন্ত্রী উল্লিখিত বক্তব্য দেন। মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেউই খুব স্বচ্ছ নয় (নোবডি ইজ ভেরি ট্রান্সপারেন্ট)। ব্যক্তিগত সুবিধা নেওয়ার জন্য কেউ যদি ফাইল নিয়ে টানাটানি করে তাহলে সমস্যা আছে।’

অনুষ্ঠানে আবাসিক এলাকায় অননুমোদিত বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদে রাজউকের চলমান অভিযান নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এসব আবাসিক এলাকা নকশা করার ক্ষেত্রে নগর পরিকল্পনাবিদদের দূরদর্শিতার অভাব ছিল। ধানমন্ডি-গুলশান-বারিধারার মতো এত বড় এলাকাগুলোতে হাসপাতাল, স্কুল কিংবা প্রয়োজনীয় বাণিজ্যিক স্থাপনার জন্য আলাদা কোনো জায়গা রাখা হয়নি। এসব এলাকায় যে বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলো গড়ে উঠেছে, সেটা প্রয়োজনের সাপেক্ষেই। তাই ঢালাওভাবে এগুলো উচ্ছেদ করাও সম্ভব নয়। কারণ, এগুলোর সঙ্গে অনেকের জীবনজীবিকাও জড়িত।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (এইচবিআরআই) প্রতিষ্ঠানটির উদ্ভাবিত নির্মাণ উপকরণ ও প্রযুক্তি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

ডিআরইউয়ের আয়োজনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জামাল উদ্দীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *