প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস প্রান্ত, বৃহত্তর বরিশাল থেকে: জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে বুধবার সকালে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০১৬ পালিত হয়েছে।
সকাল ১০টায় বর্নাঢ্য র্যালীর মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা হয়।র্যালী শেষে এ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. মোহাম্মদ ফকরুল আলম, সিভিল সার্জন, পিরোজপুর। ডাঃ মোঃ আবদুল আলীম,জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা,পিরোজপুর এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ডাঃ মোহাম্মদ ফকরুল আলম,সিভিল সার্জন,পিরোজপুর,ডাঃপ্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস,ইউএলও,ভান্ডারিয়া,ডাঃদীনেশ চন্দ্র মজুমদার, ভেটেরিনারি সার্জন,মঠবাড়ীয়া ডাঃ মোঃ আজহারুল ইসলাম,ভেটেরিনারি সার্জন,জিয়ানগর,খান মোঃ জুলফিকার আলী,ভিএফএ,পিরোজপুর সদর,মোঃ মোসলেম উদ্দিন,প্রমুখ।সভায় স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ডা.মো: আবদুল আলীম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, পিরোজপুর। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ডাঃ তরুন কুমার সিকদার,ইউএলও,পিরোজপুর সদর। সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল এডুকেশন, ভেক্সিনেশন ও প্রিভেনশন।
ডা. দীনেশ চন্দ্র মজুমদার, ভেটেরিনারি সার্জন, মঠবাড়ীয়া বলেন, প্রতি বছর বিশ্বে ৫৫০০০ জন মানুষ এ রোগে মারা যায়।এর মধ্যে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে ৯৫%।বাংলাদেশে প্রতিবছর ২০০০ জন মানুষ ও হাজার হাজার গবাদি পশু আক্রান্ত হয়।এদেশে প্রায় ১২ লক্ষ কুকুর বিড়াল আছে।তার মধ্যে ৮২% বেওয়ারিশ।যত মানুষ মারা যায় তার মধ্যে কেবল কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৯৫%।বক্তব্যে অন্যান্যরা বলেন কুকুর মারা বিশেষ ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ করতে হলে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।মানুষের মধ্যে জলাতঙ্ক ভীতি কাজ করার বিষয় উল্লেখ করে বলেন টিকার মাধ্যমে জলাতঙ্ক সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা সম্ভব যা সাধারন মানুষ জানেননা। প্রতিরোধক হিসেবে দুই ধরনের টিকা ব্যবহার করতে হবে।কুকুর পালক ও কুকুরকে প্রি এক্সপোজার এবং পাগলা কুকুরে কামড়ানো ব্যক্তিকে পোস্ট এক্সপোজার টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে জলতাংক প্রতিরোধ করা সম্ভব। বক্তারা আরো বলেন কুকুরে কামড়ালে ক্ষতস্থান ক্ষার জাতীয় সাবান বা কাপড় কাচা সোডা দিয়ে অন্তত ১০ থেকে ১২ মিনিট ধরে ধুতে হবে তবে কোন ভাবেই সেলাই করা যাবেনা।