ঢাকা মহানগর আ.লীগ; পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে মায়া-কামরুলের পদাবনতি

Slider রাজনীতি

d5b2f4d94a9e3ef3f779cba12e13b453-untitled-4

ঢাকা;  অবশেষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণ শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর থেকে কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বড় চমক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও লালবাগের সাংসদ হাজি সেলিমের পদাবনতি। দুই মহানগরের একক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী। কামরুল ও হাজী সেলিম ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এখন মায়া ও কামরুলকে রাখা হয়েছে কম গুরুত্বপূর্ণ মহানগর দক্ষিণ কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে। আর হাজি সেলিমকে করা হয়েছে সদস্য। দলীয় সূত্র জানায়, এবারের কমিটিতে তরুণদের বেশি স্থান দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মহানগরকে দুই ভাগ করে উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। তখন উত্তরে এ কে এম রহমত উল্লাহকে সভাপতি ও সাদেক খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। আর দক্ষিণে আবুল হাসনাতকে সভাপতি ও শাহে আলম মুরাদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার অপরাধে হাজি সেলিমকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। গত ৬ সেপ্টেম্বর দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে যাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাঁদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। তবে আবেদন করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরে পাওয়ার শর্ত ছিল। তড়িঘড়ি করে প্রাথমিক সদস্য পদ তিনি নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলায় জামাতা তারেক সাঈদ গ্রেপ্তার হলে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর অবস্থান নড়বড়ে হয়ে পড়ে। আর কামরুলও গম কেলেঙ্কারি ও আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে সমালোচনায় পড়েছেন। তবে সূত্র বলছে, এই দুজনকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে স্থান দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলের। মায়া এখনো কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

কমিটি সম্পর্কে জানতে চাইলে দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, কমিটি ভালো হয়েছে। ত্যাগী ও পরীক্ষিত ব্যক্তিরাই স্থান পেয়েছেন। জঙ্গিবাদ নির্মূল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে এই কমিটি সক্ষমতা দেখাতে পারবে।

মহানগর উত্তর কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে সাবেক সাংসদ এইচ বি এম ইকবালকে। তাঁকে দীর্ঘদিন দলীয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন। উপদেষ্টা পরিষদে আছেন সাংসদ কামাল আহম্মেদ মজুমদারও।

উত্তর ও দক্ষিণ কমিটিতে দুই মেয়রকে রাখা হয়েছে। আনিসুল হক আছেন উত্তরের উপদেষ্টা পরিষদে। আর সাঈদ খোকন দক্ষিণের সদস্য।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয় গত ১০ এপ্রিল। পাঁচ মাস পর ঘোষণা করা হলো পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ১০ এপ্রিল প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *