পঁয়ষট্টি বছর বয়সী শিক্ষক গিলবারতো গঞ্জালেস আরিয়াস ইচ্ছা করেই ছাত্রছাত্রীদের কম নম্বর দিতেন পরীক্ষায়। তারপর তাদেরকে বলতেন, নম্বর বাড়াতে হলে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে হবে। এমন অভিযোগে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তিনি তার এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ছিলেন হলুদ রঙের অন্তর্বাস পরা। এ ঘটনা ঘটেছে কলম্বিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর সান্তা বারবারা ডি পিন্টোতে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য মিরর। এতে বলা হয়েছে, গিলবারতো অংকের শিক্ষক। তিনি শিক্ষার্থীদের তার যৌনতার ফাঁদে ফেলতে কম নম্বর দিতেন। পরে তাদেরকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিতেন। এর পর হাই স্কুল পড়–য়া এক শিক্ষার্থী তার বাসায় যায়। সঙ্গে নিয়ে যায় তার পিতা ও একদল পুলিশকে। সেখানে গিয়েই তারা দেখতে পান ওই শিক্ষক অন্তর্বাস পরে আছেন। সঙ্গে রয়েছে এক শিক্ষার্থী। তার শরীর অর্ধনগ্ন। ওই ছাত্রীর পিতা গিয়ে শিক্ষকের মুখে ঘুষি মারেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা এ দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করেন। আরেকজন গিয়ে ওই শিক্ষকের দু’হাত পিছনে নিয়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেন। স্থানীয় পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী আটক করা গিলবারতো স্থানীয় নুয়েস্ত্রা সেনোরো ডেল রোজারিও হাই স্কুলের শিক্ষক। এখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি এভাবে কত শিক্ষার্থীকে তার যৌনতার ফাঁদে ফেলেছেন তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তারা বলেছেন, এরই মধ্যে এমন তিনটি অভিযোগ পেয়েছেন তারা। স্থানীয় পুলিশ প্রধান জন জেইরো রড্রিগুয়েজ বলেছেন, এরই মধ্যে ওই শিক্ষককে বিচার বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে নতুন করে আরও তিনটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, যদি তার এমন বাজে ব্যবহারের শিকার অন্য শিক্ষার্থী হয়ে থাকে তাহলে তাদের পিতামাতারা যেন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে। স্থানীয় শিক্ষা বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা এডুয়ার্ডো আরটেটা করোনেল এ অভিযোগ তদন্ত ও প্রমাণের জন্য পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন।