ঢাকা; কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হতে চলছে কলকাতা-ঢাকা লাক্সারি ক্রুজ সার্ভিস। বিশেষ এই পরিষেবা চালুর লক্ষ্যে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার।
ভারতীয় জাহাজ মন্ত্রণালয়ের অান্তঃদেশীয় নৌপথ পরিবহনের সহকারী পরিচালক অরবিন্দ কুমার জানিয়েছেন, বর্তমানে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের জেরে সীমান্ত পেরিয়ে মালবাহী জাহাজ চলাচল করে। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে জলপথে যাত্রী পরিবহন পরিষেবা চালু করতে চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা চলছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, এই বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা চলছে এবং সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ থেকেই এই পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌপথ পরিবহন এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ পরিবহন কর্পোরেশন বিষয়টি দেখাশোনা করবে।
উল্লেখ্য, কলকাতা থেকে ঢাকা আসতে এই মুহূর্তে পর্যটকদের ভরসা বাস, রেল ও বিমান। দুই দেশের মধ্যে কয়লা ও ফ্লাই অ্যাশ নিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে। নৌপথে ৯০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কলকাতা থেকে ঢাকা পৌঁছাতে সময় লাগবে ১৪ দিন।
নতুন এ সেবায় ভারতীয় পর্যটকদের প্রথমে নদিয়ার শান্তিপুরে তাঁত শিল্পীদের কাজ দেখাতে নিয়ে যাওয়া হবে। পথে যেতে পড়বে দক্ষিণেশ্বর মন্দির, চন্দননগর, ব্যান্ডেলের মত স্থান। শান্তিপুর থেকে মুখ ঘুরিয়ে পর্যটন জাহাজ সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উদ্দেশে যাত্রা করবে। এরপর হেমনগরে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবেন পর্যটকরা। সেখান থেকে জাহাজ পৌঁছাবে বাংলাদেশের সুন্দরবনের মংলায়। পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে সোনারগাঁ ও চাঁদপুরের প্রাচীন বন্দর আটঘর খুরিয়ানায়। এখানে মিলবে সেরা মানের ইলিশ।
ভারতীয় অন্তর্বর্তী নৌপথ পরিবহন অপর এক কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত এই নৌপথ ভ্রমণের ভাড়া নির্দিষ্ট হয়নি। তবে বিলাসবহুল ক্রুজ হিসেবে খরচের পরিমাণ কিছুটা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।