রাজধানীর সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে পরিচিত কূটনৈতিক জোন গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ভাবিয়ে তুলেছে নগরবাসীকে। কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহে হামলা ও ঢাকার কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে ৯ জঙ্গির মৃত্যুর পর নিরাপত্তা উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় রাজধানীজুড়ে পাড়া ও মহল্লাভিত্তিক নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও নিরাপত্তা বাড়িয়েছেন নিজেদের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। গুলশান, কল্যাণপুর, ধানমন্ডি, উত্তরা, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বাসার সামনে ও আবাসিক এলাকার প্রবেশ ফটকে গেট লাগাতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা, সড়ক এবং বাসায় লাগানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। বাড়ছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের পাহারাও। ভোগান্তি সত্ত্বেও নিরাপত্তার স্বার্থে ভাড়াটিয়ারাসহ অধিবাসীরা মেনে নিচ্ছেন নিয়ন্ত্রিত চলাচল।
গুলশান, উত্তরা ও কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন এলাকা সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও বাড়ির প্রবেশ মুখে গেট স্থাপন এবং সিসি ক্যামেরা বসানোর হিড়িক পড়েছে। মিরপুর থানাধীন কল্যাণপুরের ৯ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাসা। বাসাটির বাইরে আগে থেকে প্রধান ফটকে গেট রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আরও কিছু ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা এতদিন মাথায় আসেনি বাড়ি মালিকের। কিন্তু গুলশান ও কল্যাণপুরের ঘটনায় বাসার সামনে গেট থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তা বোধ করছেন না তারা। ফলে বসানো হয়েছে আরও একটি নতুন ‘কেচি গেট’। এছাড়া প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে ৬টি সিসি ক্যামেরা। ওই বাসার মালিকের ছেলে রাশেদ আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, গুলশানের মতো এলাকায় এমন হামলা ও কল্যাণপুরের ঘটনায় আমরা চিন্তিত। তাই বাড়তি নিরাপত্তার স্বার্থেই নতুন ‘কেচি গেট’ ও সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ৪৮/১ নং বাসার প্রধান ফটকে মজবুত গেট রয়েছে। এজন্য নিরাপত্তা নিয়ে এতদিন ভাবনাও ছিল না ভবনটির ২৫ ফ্ল্যাট মালিকের। গত ২৬শে জুলাই পাশের জাহাজ বিল্ডিং নামে পরিচিত তাজ মঞ্জিলে পুলিশের অপারেশন স্টর্ম-২৬ এ ৯ জঙ্গি নিহত হওয়ার পর থেকে তিনজন প্রহরীকে পালাক্রমে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব দিয়ে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরাও। ওই বাসার নিরাপত্তা প্রহরী হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের বাসায় মজবুত গেট থাকায় ফ্ল্যাট মালিকরা আগে কখনও নিরাপত্তা নিয়ে ভাবেননি। এখন গেট বন্ধ রাখার পাশাপাশি তিনজন প্রহরীকে সশরীরে সার্বক্ষণিক বসিয়ে রাখা হচ্ছে।
এছাড়া গত ১লা জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর থেকে কূটনৈতিক জোন গুলশানের সঙ্গে সংযুক্ত ৯টি সড়কের প্রবেশ পথে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। ওই ৯টি প্রবেশ পথেই স্থাপন করা হচ্ছে নতুন গেট। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বনানী, বারিধারাসহ আশপাশের এলাকা থেকে প্রবেশের ছোটখাট পথগুলোও। নৌকায় চড়ে লেক দিয়ে গুলশানে পারাপারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে গুলশানে বসানো হয়েছে ৬০০ সিসি ক্যামেরা। পুলিশ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় আবাসিক এলাকার কমিটিগুলোর উদ্যোগে আরও ৫০০ ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া উত্তরার সব সেক্টরের অধিকাংশ প্রবেশ পথে গেট রয়েছে। যেসব সড়কের গেট নেই, সেগুলোতে নতুন গেট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় কমিটি। এর মধ্যে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে ২০টি গেট লাগানো হচ্ছে। অন্যান্য প্রায় সেক্টরে লাগানো হয়েছে ২ থেকে ৫টি গেট। তবে লোক ও যান চলাচল বেশি হওয়ায় প্রধান সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত সড়কগুলোতে গেট লাগানো হচ্ছে না। এছাড়া যে অল্পকিছু বাড়িতে গেট নেই সেগুলোতেও বাড়ি মালিকরা গেট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। উত্তরায় একই সঙ্গে বাড়ছে সিসি ক্যামেরাও। হযরত শাহ্জালাল (রহঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত প্রধান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ৫৪টি সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য স্থানীয় উদ্যোগে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেশি ক্যামেরা লাগানো হবে আবাসিক এলাকার ভেতরে। উত্তরার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান মানবজমিনকে বলেন, দু’টি বড় জঙ্গি ঘটনার পর থেকে স্থানীয়রা নিরাপত্তা নিয়ে এখন বেশ চিন্তিত। বিভিন্ন সড়কের প্রবেশ পথ খোলা থাকায় তা নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন। গেট লাগিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। যাতে সহজে অপরাধী ঢুকতে ও বের হতে না পারে। তবে প্রধান সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত সড়কগুলোর প্রবেশ পথে গেট লাগানো হবে না।
এ দিকে রাজধানীর রায়ের বাজারেও রাস্তায় গেট বসানো শুরু হয়েছে। রায়ের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এবং বৈশাখী খেলার মাঠ ও মাজারের পাশের রাস্তায় ১০ দিন আগে বসানো হয়েছে নতুন গেট। এছাড়া ওই এলাকায় শঙ্কর মসজিদের পেছনের সড়কেও গেট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয়রা। স্টার কাবাবের পেছনে ও মধুবাজারের কাছের সড়কে তা লাগানো হবে। রায়ের বাজারের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু তাহের খান বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয়রা দুশ্চিন্তায়। তারা একডজনের বেশি সড়কে গেট লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। যেখানে প্রয়োজন দেখছি সেখানে সহায়তাও দেয়া হচ্ছে। বাসাবাড়িতেও গেট লাগানোর হিড়িক পড়েছে। অনেকে সিসি ক্যামেরাও বসাচ্ছেন।
তবে মিরপুর-১২ তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে আগে থেকে গেট থাকায় কোনো সড়কে নতুন গেট বসানোর খবর পাওয়া যায়নি। রাত গভীর হতেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ গেট। সামর্থ্যবান বাড়িমালিকরা বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছেন।
এই ঘটনার পর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার প্রায় সড়কেই গেট লাগানোর কাজটি শেষ করা হচ্ছে। আগে ওই এলাকার দুই ডজনের বেশি গেট সারারাত ধরেই খোলা থাকতো। এখন রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ২০টির মতো গেট বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। খোলা রাখা হচ্ছে ৬, ১০, ৭/এ ও ১১ নম্বর গেটসহ ৬ থেকে ৭ টা গেট। তাতেও আবার পুলিশ ও স্থানীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের নজরদারি রাখা হচ্ছে। এরই মধ্যে ধানমন্ডিতে ৭০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ধানমন্ডি কল্যাণ সমিতি, পুলিশ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে আরও ৩০০টি সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ঈদুল আজহার আগেই ১০০ সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ধানমন্ডির ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন স্বপন বলেন, চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ হলেও নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয়রা তা মেনে নিয়েছেন। তাতে তারা খুশিও। তাদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে পাশের যেসব এলাকার লোকজন দূরত্ব কমানোর জন্য ধানমন্ডির উপর দিয়ে সহজে যাতায়াত করতেন তারা অসন্তুষ্ট। তাদের কাছ থেকে কয়েকটি অভিযোগও এসেছে। এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনানী, বারিধারা, নিকেতন, মতিঝিল, মগবাজার, মিরপুর, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় উদ্যোগে নতুন গেট ও সিসি ক্যামেরা বসানোর হিড়িক পড়েছে।
গুলশান, উত্তরা ও কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন এলাকা সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও বাড়ির প্রবেশ মুখে গেট স্থাপন এবং সিসি ক্যামেরা বসানোর হিড়িক পড়েছে। মিরপুর থানাধীন কল্যাণপুরের ৯ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাসা। বাসাটির বাইরে আগে থেকে প্রধান ফটকে গেট রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আরও কিছু ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার কথা এতদিন মাথায় আসেনি বাড়ি মালিকের। কিন্তু গুলশান ও কল্যাণপুরের ঘটনায় বাসার সামনে গেট থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তা বোধ করছেন না তারা। ফলে বসানো হয়েছে আরও একটি নতুন ‘কেচি গেট’। এছাড়া প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে ৬টি সিসি ক্যামেরা। ওই বাসার মালিকের ছেলে রাশেদ আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, গুলশানের মতো এলাকায় এমন হামলা ও কল্যাণপুরের ঘটনায় আমরা চিন্তিত। তাই বাড়তি নিরাপত্তার স্বার্থেই নতুন ‘কেচি গেট’ ও সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ৪৮/১ নং বাসার প্রধান ফটকে মজবুত গেট রয়েছে। এজন্য নিরাপত্তা নিয়ে এতদিন ভাবনাও ছিল না ভবনটির ২৫ ফ্ল্যাট মালিকের। গত ২৬শে জুলাই পাশের জাহাজ বিল্ডিং নামে পরিচিত তাজ মঞ্জিলে পুলিশের অপারেশন স্টর্ম-২৬ এ ৯ জঙ্গি নিহত হওয়ার পর থেকে তিনজন প্রহরীকে পালাক্রমে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব দিয়ে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরাও। ওই বাসার নিরাপত্তা প্রহরী হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের বাসায় মজবুত গেট থাকায় ফ্ল্যাট মালিকরা আগে কখনও নিরাপত্তা নিয়ে ভাবেননি। এখন গেট বন্ধ রাখার পাশাপাশি তিনজন প্রহরীকে সশরীরে সার্বক্ষণিক বসিয়ে রাখা হচ্ছে।
এছাড়া গত ১লা জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর থেকে কূটনৈতিক জোন গুলশানের সঙ্গে সংযুক্ত ৯টি সড়কের প্রবেশ পথে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। ওই ৯টি প্রবেশ পথেই স্থাপন করা হচ্ছে নতুন গেট। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বনানী, বারিধারাসহ আশপাশের এলাকা থেকে প্রবেশের ছোটখাট পথগুলোও। নৌকায় চড়ে লেক দিয়ে গুলশানে পারাপারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে গুলশানে বসানো হয়েছে ৬০০ সিসি ক্যামেরা। পুলিশ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় আবাসিক এলাকার কমিটিগুলোর উদ্যোগে আরও ৫০০ ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া উত্তরার সব সেক্টরের অধিকাংশ প্রবেশ পথে গেট রয়েছে। যেসব সড়কের গেট নেই, সেগুলোতে নতুন গেট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় কমিটি। এর মধ্যে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে ২০টি গেট লাগানো হচ্ছে। অন্যান্য প্রায় সেক্টরে লাগানো হয়েছে ২ থেকে ৫টি গেট। তবে লোক ও যান চলাচল বেশি হওয়ায় প্রধান সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত সড়কগুলোতে গেট লাগানো হচ্ছে না। এছাড়া যে অল্পকিছু বাড়িতে গেট নেই সেগুলোতেও বাড়ি মালিকরা গেট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। উত্তরায় একই সঙ্গে বাড়ছে সিসি ক্যামেরাও। হযরত শাহ্জালাল (রহঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত প্রধান সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ৫৪টি সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য স্থানীয় উদ্যোগে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেশি ক্যামেরা লাগানো হবে আবাসিক এলাকার ভেতরে। উত্তরার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান মানবজমিনকে বলেন, দু’টি বড় জঙ্গি ঘটনার পর থেকে স্থানীয়রা নিরাপত্তা নিয়ে এখন বেশ চিন্তিত। বিভিন্ন সড়কের প্রবেশ পথ খোলা থাকায় তা নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন। গেট লাগিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। যাতে সহজে অপরাধী ঢুকতে ও বের হতে না পারে। তবে প্রধান সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত সড়কগুলোর প্রবেশ পথে গেট লাগানো হবে না।
এ দিকে রাজধানীর রায়ের বাজারেও রাস্তায় গেট বসানো শুরু হয়েছে। রায়ের বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এবং বৈশাখী খেলার মাঠ ও মাজারের পাশের রাস্তায় ১০ দিন আগে বসানো হয়েছে নতুন গেট। এছাড়া ওই এলাকায় শঙ্কর মসজিদের পেছনের সড়কেও গেট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয়রা। স্টার কাবাবের পেছনে ও মধুবাজারের কাছের সড়কে তা লাগানো হবে। রায়ের বাজারের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু তাহের খান বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয়রা দুশ্চিন্তায়। তারা একডজনের বেশি সড়কে গেট লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। যেখানে প্রয়োজন দেখছি সেখানে সহায়তাও দেয়া হচ্ছে। বাসাবাড়িতেও গেট লাগানোর হিড়িক পড়েছে। অনেকে সিসি ক্যামেরাও বসাচ্ছেন।
তবে মিরপুর-১২ তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে আগে থেকে গেট থাকায় কোনো সড়কে নতুন গেট বসানোর খবর পাওয়া যায়নি। রাত গভীর হতেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ গেট। সামর্থ্যবান বাড়িমালিকরা বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছেন।
এই ঘটনার পর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার প্রায় সড়কেই গেট লাগানোর কাজটি শেষ করা হচ্ছে। আগে ওই এলাকার দুই ডজনের বেশি গেট সারারাত ধরেই খোলা থাকতো। এখন রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ২০টির মতো গেট বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। খোলা রাখা হচ্ছে ৬, ১০, ৭/এ ও ১১ নম্বর গেটসহ ৬ থেকে ৭ টা গেট। তাতেও আবার পুলিশ ও স্থানীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের নজরদারি রাখা হচ্ছে। এরই মধ্যে ধানমন্ডিতে ৭০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ধানমন্ডি কল্যাণ সমিতি, পুলিশ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে আরও ৩০০টি সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ঈদুল আজহার আগেই ১০০ সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ধানমন্ডির ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন স্বপন বলেন, চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ হলেও নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয়রা তা মেনে নিয়েছেন। তাতে তারা খুশিও। তাদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে পাশের যেসব এলাকার লোকজন দূরত্ব কমানোর জন্য ধানমন্ডির উপর দিয়ে সহজে যাতায়াত করতেন তারা অসন্তুষ্ট। তাদের কাছ থেকে কয়েকটি অভিযোগও এসেছে। এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনানী, বারিধারা, নিকেতন, মতিঝিল, মগবাজার, মিরপুর, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় উদ্যোগে নতুন গেট ও সিসি ক্যামেরা বসানোর হিড়িক পড়েছে।