তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রের কোন বিকল্প নেই। গণতন্ত্র সীমিত হয়ে গেলে উন্নয়নও সীমিত হয়ে যাবে। গণতন্ত্রের মধ্য দিয়েই উন্নয়ন করতে হবে। শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সীমিত গণতন্ত্র গ্রহণযোগ্য কিনা’ ছায়া সংসদ পাবলিক পার্লামেন্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সুলতানা কামাল বলেন, আমরা জনগণের অধিকারগুলো কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করার সম্মতি দিতে পারি যদি আমাদের আশ্বস্ত করতে পারে এটা সবার জন্য সুফল বয়ে আনবে। যারা নীতিগতভাবে গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে শুধুমাত্র সেই রাজনৈতিক দল দিয়েই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। দল পরিবর্তন হলেও যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে এটা ও নয়। দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, নতুন রাস্তাঘাট, সেতু তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সেই সেতু, ব্রিজ দিয়ে একজন নারী নিরাপদে যদি চলাচল করতে না পারে তাহলে সেই উন্নয়ন দিয়ে আমরা কি করব। সুলতানা কামাল বলেন, যদি এমন প্রশ্ন আসে আমরা গণতন্ত্র নিব না উন্নয়ন নিব তাহলে আমি বলব উন্নয়ন কেন চাই আমরা। উন্নয়ন হচ্ছে দেশের জনগণের নিরাপত্তাবোধ, শান্তি, কথা বলার অধিকার, ন্যায়বিচারের অধিকার। শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক মানুষের স্বস্তি আর সুখের জন্য উন্নয়ন সাধারন মানুষ চায় না। তবে কিছু বিষয় আছে যেখানে নীতিনির্ধারক ও জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোনটা আগে। তিনি বলেন, জনগণকে বোধটা দিতে হবে যে তোমার কাজটা আমি করে দিচ্ছি। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো বলে আমার কাজ তোমরা কর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদে সরকারী দল হিসেবে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং বিরোধী দল হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।