এ বছরের ৭ই মার্চ। জন্ম হয়েছিল মোহাম্মদ আলীর। মা হীরা মনির গর্ভে বেড়ে উঠেছিল সে। তার শরীরের নি¤œাঙ্গে ভর করে ছিল অপর একটি অপূর্ণাঙ্গ শিশু। মাথা, বুক আর দুই হাত ছিলনা যার। চিকিসকরা একে বলেন ‘অপূর্ণাঙ্গ জমজ শিশু’। জন্মের তৃতীয় দিনে, ১০ই মার্চ ওই জমজ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমীনের তত্তাবধানে শিশু সার্জারি বিভাগের ১৩ নম্বর বিছানায় ছিল ওই শিশুটি। অনেক গবেষণা ও পর্যালোচনার পর বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকরা সফল অস্ত্রপাচার করেছিলেন ওই শিশুর শরীরে। এক মাস আগে। ২০শে জুন অপারেশন হয়েছিল। তারপর গত এক মাস চলে পোস্ট অপারেটিভ পর্যবেক্ষণ। আজ পূর্ণ সুস্থ মোহাম্মদ আলীর বয়স প্রায় সাড়ে চার মাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান যাকে বলছেন, ‘নতুন’ মোহাম্মদ আলী। তাকে মায়ের কোলে তুলে দেয়া হয়েছে আজ। শিশুটিকে কোলে পেয়ে মা হীরা মনি বলছিলেন, আমি ভাবতেই পারিনি আমার সন্তানকে কোলে ফিরে পাব। আপনারা আমার সন্তানকে দোয়া করবেন। চিকিৎসকরা অনেক পরিশ্রম করেছেন। মানবজমিনকে ওই মা আরও জানিয়েছেন, আমি স্বপ্ন দেখি আমার মোহাম্মদ আলী একদিন ডাক্তার হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে মোহাম্মদ আলীকে মায়ের কোলে তুলে দেয়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ শিকদার, অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মো. এ এস এম জাকারিয়া স্বপন, ট্রেজারার অধ্যাপক আলী আসগর মোড়ল প্রমুখ। ভিসি এ সময় বলেন, আমরা নতুন মোহাম্মদ আলীকে মায়ের কোলে তুলে দিচ্ছি। বাংলাদেশের চিকিসাবিজ্ঞানে এটা একটা সাফল্য। বাংলাদেশের মানুষকে তিনি বর্তা দেন যে বাংলাদেশেও অনেক উন্নত চিকিৎসা হয়। শিশু মোহাম্মদ আলীর বাবার নাম মোহাম্দ জাকারিয়া। তাদের পরিবারে আরও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে।