ভারতের কাছে ১০ নিখোঁজ যুবকের খোঁজ চেয়েছে বাংলাদেশ

Slider জাতীয়

21868_lead

 

বাংলাদেশে কয়েক শত নিখোঁজ যুবকের মধ্যে ১০ জনকে চিহ্নিত করে বাংলাদেশ সরকার তাদের সম্পর্কে তথ্য জানতে ভারতের কাছে তালিকা তুলে দিয়েছে। এই ১০ জন ইতিমধ্যেই জঙ্গি তালিকায় নাম লিখেছে বলে অনুমান করেই ভারতের সীমান্তবতী রাজ্যগুলির সীমান্ত অঞ্চলে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বিএসএফ। ভারতের গোয়েন্দারাও মনে করছেন, বাংলাদেশের নিখোঁজ যুবকদের অনেকেই ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের অধিকাংশই ছাত্র। এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা নিখোঁজ। নিখোঁজদের সাম্প্রতিক গতিবিধি ট্র্যাক করে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন এই ১০জন বাইরে থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে এদের। জেএমবির সঙ্গে যোগ রয়েছে এদের। এপারের সীমান্ত লাগোয়া দুই দিনাজপুর বা মালদহে গাঢাকা দিয়ে রয়েছে এই ১০ জন। মেঘালয় দিয়ে আসামে ৫ বাংলাদেশি যুবকের প্রবেশ করা নিয়েও ভারতীয় গোয়েন্দারা বেশ চিন্তিত। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ আসাম ও ঝাড়খন্ডে জেএমবি তাদেও নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করে কাজ চালাচ্ছে। বর্ধমানের বি¯েফারণের পর জেএমবির তৎপরতার খবর জানা গেলেও এখনও বেশ কয়েকজন জঙ্গি নেতা ফেরার রয়েছেন। সালাউদ্দিন সাহলিন, বোমা মিজান, নাসিরুল্লার মতো ফেরার জেএমবি জঙ্গিরাই দুই বাংলার বুকে জঙ্গি কার্যকলাপের বেশির ভাগটাই নিয়ন্ত্রণ করে। তাই বাংলাদেশের জঙ্গী যোগে নিখোঁজ যুবকদের এদের কাছে আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছে গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের আমোদপুর স্টেশনে আইসিসের জঙ্গি সন্দেহে আটক মুসার সঙ্গেও বাংলাদেশের জঙ্গিদের যোগাযোগের তথ্য গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। মুসা একাধিকবার জেএমবি নেতা সালাউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বাংলাদেশেও গিয়েছিল বলে সে গোয়েন্দাদের জানিয়েছে। ফলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বেড়েছে।  গোয়েন্দাদের মতে, বাংলাদেশের পাঠানো তালিকার ১০ জন এখন পশ্চিমবঙ্গের পক্ষেও আতঙ্ক।  গোয়েন্দাদের আশঙ্কা আরও জোরালো করেছে রাজ্যে গাঢাকা দিয়ে থাকা একাধিক জেএমবি নেতা। মালদহ ও দিনাজপুরের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *