সমর্থনে এগিয়ে থেরেসা মে

Slider সারাবিশ্ব

21086_Theresa-May

 

 

 

 

 

 

বৃটেনের কনজারভেটিভ পার্টির নেতা তথা বৃটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সমর্থন বাড়ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মে’র প্রতি। দলীয় প্রধানের নেতৃত্বের নির্বাচনের দাঁড়ানোর পর আরও দুই কেবিনেট মন্ত্রী সমর্থন জানিয়েছেন তাকে। ডেইলি মেইলও নিজেদের সমর্থন থেরেসাকেই দিয়েছে। এই নির্বাচনের অন্য প্রার্থীদের তুলনায় দলীয় এমপিদেরও বেশিরভাগই সমর্থন করছেন তাকে। কমপক্ষে আরও তিন কেবিনেট মন্ত্রীও রয়েছেন তার সমর্থনে। নির্বাচনী দৌড়ে থেরেসার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আরও রয়েছেন বিচারমন্ত্রী মাইকেল গোভ, শ্রম ও অবসর ভাতা বিষয়ক মন্ত্রী স্টিফেন ক্র্যাব, জ্বালানীমন্ত্রী অ্যান্দ্রিয়া লিডসম ও সাবেক কেবিনেট মন্ত্রী লিয়াম ফক্স।

বিবিসির খবরে বলা হয়, থেরেসা মে বৃহস্পতিবার তার প্রার্থিতা ঘোষণার পর দুই কেবিনেট মন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন ও প্যাট্রিক ম্যাকলফলিন সমর্থন জানিয়েছেন তার প্রতি। তারা থেরেসার নির্বাচনী প্রচারণার পক্ষে কাজ করবেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্যালন বলেছেন, ‘যে সংকটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে’ তা থেকে উত্তরণের জন্য থেরেসাই সঠিক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘থেরেসাই সর্বোত্তম ব্যক্তি যিনি ইইউ থেকে আমাদের বেরিয়ে যাওয়ার পথে নেতৃত্ব দিতে পারবেন; যাতে করে আমাদের কঠিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুরক্ষার পাশাপাশি আমরা অভিবাসী কমাতে পারব ও সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করতে পারব।’ পরিবহনমন্ত্রী প্যাট্রিক ম্যাকলফলিন ডেইলি সানে লিখেছেন, থেরেসে মে’র মধ্যে বিশেষ ‘ইট’ ফ্যাক্টর রয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা জানি যে আমাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে আমরা বাকি বিশ্বের সামনে আমাদের উজ্জ্বল একটি ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। এক্ষেত্রে তার সম্পর্কে পূর্বের অভিজ্ঞতা এমন যে তিনি যখন ব্রাসেলসে হাজির হন, ইউরোপের নেতারা চুপচাপ বসে তার কথা শোনেন।’ এদিকে ডেইলি মেইলও তাদের শুক্রবারের সংখ্যার প্রচ্ছদেই সমর্থন জানিয়েছে থেরেসাকে। পত্রিকাটি শিরোনামে লিখেছে, ‘অগ্নিশিখার মুখে দল এবং কেন থেরেসাকেই দায়িত্ব নিতে হবে’।

তাতে লেখা হয়েছে, ওয়েস্টমিনিস্টার যখন ক্রমেই পাগলাগারদ সাদৃশ্য হয়ে পড়ছে তখন দেশের হাল ধরার জন্য শক্তিশালী ও অবিচল একজন নেতৃত্ব প্রয়োজন। ধারণা করা হচ্ছে, টোরি নেতৃত্বের এই নির্বাচনে থেরেসা মে’র প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হতে যাচ্ছেন বিচারমন্ত্রি মাইকেল গোভ। তার নির্বাচনের দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত চমক হিসেবেই এসেছে। গণভোটের আগে ও পরের সময়ে তিনি লন্ডনের সাবেক মেয়র ও ইইউ ত্যাগের পক্ষের প্রধান নেতা বরিস জনসনের একজন সমর্থক হিসেবেই ছিলেন। এই নির্বাচনে থেরেসা মে’র প্রতিপক্ষ হিসেবেও বরিস জনসনকেই সবাই প্রত্যাশা করে আসছিলেন। তবে নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেয়ার সময় বরিস নিজেকের প্রত্যাহার করে নেন নির্বাচনী দৌড় থেকে। এই পরিস্থিতিতে দলকে খুব বেশি কিছু দেয়ার নেই বলেই এমন অবস্থান নেন তিনি। তার প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার সময়ই প্রেক্ষাপটে হাজির হন মাইকেল গোভ। তিনি জানিয়েছেন, দলকে একতাবদ্ধ করতে ও দেশকে এগিয়ে নিতে এখন যে ধরনের নেতৃত্ব প্রয়োজন তা দেয়ার সক্ষমতা বরিসের নেই। আর সে কারণে তিনি অনিচ্ছাসত্ত্বেও নিজেই দল ও দেশের নেতৃত্বে এগিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *