ইসরাইলের সাফাদি বাংলাদেশের সরকার আনা-নেয়া করেন!

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ রাজনীতি সারাদেশ

images (1)

 

 

ইসরাইলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদি এখন বাংলাদেশের পলিসি মেকার বলেই মনে হচ্ছে। কারণ তার সঙ্গে বৈঠক করলে সরকারের পতন হয়ে যাবে। আবার তার সঙ্গে বৈঠক করলে সরকারের স্থায়িত্বও বেড়ে যাবে। সুতরাং বলতে হবে যে, সাফাদি বাংলাদেশের সরকার আনা নেয়া করেন।

কিছুদিন আগে গ্রেফতার হলেন বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হল। অভিযোগ, তিনি ভারতে বসে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছেন।

এই বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী সাহেব বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে সাফাদির কোন বৈঠক হয়নি। আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে ভারতে তার দেখা হয়েছে মাত্র। সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সঠিক নয়।

এখন খবর বেরিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে বিবিসি সংবাদ দিয়েছে। এই বিষয়ে জয় বলেছেন, তার সঙ্গে সাফাদির কোন বৈঠক হয়নি। দলীয় ব্যাখ্যা দিয়ে আওয়ামীলীগের যুগ্মসম্পাদক হানিফ সাহেব বললেন,জয়ের সঙ্গে সাফাদির কোন বৈঠক হয়নি। বরং তিনি আজ বললেন, সাফাদি বলেছেন, বাংলাদেশের রহমানের সঙ্গেও তার বৈঠক হয়েছে। এই রহমান হলেন তারেক রহমান।

তবে আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম দুই বৈঠকের স্থায়ী চিত্র  প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকার পরিচালনা করার দুই মহাশক্তি আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। দুটি দলই তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সাদ গ্রহন করেছেন। দুই দলের ভবিষৎ কান্ডারী দুই  নেতা জয় ও তারেক।

এখন  অভিযোগ আকারে  প্রশ্ন এসে গেছে, ক্ষমতায় থাকার জন্য জয় ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারেক সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সুতরাং সাফাদি বাংলাদেশের সরকার আনা নেয়া করেন আর তিনি হলেন বাংলাদেশের কিং মেকার।

সত্যিই কষ্ট হয় ও দু:খ লাগে, যখন দেশের  কান্ডারীরা পরস্পর পরস্পরকে আক্রমন করার জন্য ভাড়াটিয়ার আগমন ঘটায়। সাফাদির সঙ্গে বাংলাদেশের কারো বৈঠক হউক বা না হউক কথাটা এখন চাওড় হয়ে গেছে সারা বিশ্বে। বিশ্ববাসী জানতে পারছেন যে আমরা ক্ষমতার প্রয়োজনে এমন দেশের একজন নেতাকে নিয়ে টানাটানি করছি যে দেশের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের কুটনৈতিক সম্পর্কও নেই। মানে হল আমরা আমাদের অসহায়ত্বের জানান দিলাম। এ ধরণের কর্মকান্ড একটি স্বাধীন দেশের জন্য কলংক ছাড়া আর কিছুই নয়।

রক্ত ও ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কোন ঠুনকো বিষয় নয়। বাঙালী বীরের জাতি। তারা বীর। গায়ের রক্ত ঢেলে দিতে জানে দেশের প্রয়োজনে। স্বইচ্ছায় জীবন বিলিয়ে দেয়, মা মাটি ও মানুষের সম্মান ইজ্জত ও অখন্ডতা রক্ষার জন্য। তারা রক্ত দিতে জানেন কিন্তু হারতে জানেন না। তার আত্মহুতি দিতে পারেন হাসতে হাসতে কিন্তু পরাজয় মেনে নিতে শিখেন নি। এই অস্থায় যারা ইহুদী নেতাকে টানাটানি করে বাংঙালীকে কাপরুষ করতে চায় তাদের আমরা ঘৃনা করি।

ড. এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইনচীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *