পঞ্চম ধাপে ৭১৭টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলাকালে শনিবার দুপুরে নানা অভিযোগ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই হতাশার কথা জানান তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নির্বাচনে বারবার কারচুপি হচ্ছে, অনিয়ম হচ্ছে। আমরাও বারবার লিখিত অভিযোগ দিচ্ছি। ইসিও প্রতিবার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু কাজের কাজ কিচ্ছু হচ্ছে না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইসি কিছু করতে না পারলেও আমরা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছি। এটি সহানুভূতি। কিন্তু এই সহানুভূতিটাও অসহানুভূতি। কেনো না সংবিধানে ইসিকে অনেক ক্ষমতা দেওয়া আছে।’
তিনি বলেন,’চলমান ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না জেনেও আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। কারণ আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।’
তিনি বলেন, ‘ইউপি নির্বাচন কারচুপিতে প্রশাসনের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও সহায়তা করছে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের এটি তো চরিত্র হতে পারে না। নির্বাচন কমিশন আমাদের বলছে, যে তারা হত্যা ভাঙ্গচুরের সব ঘটনার তালিকা সংগৃহ করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমরা বলেছি শুধু তালিকাই নিতে পারবেন কিন্তু কিছু করতে পারবেন না। কারণ নির্বাচনের পর প্রশাসন আপনাদের আন্ডারে থাকবে না।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন (অব.) সুজা উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।