বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবা-ছেলেকে পেটাল এমপির ক্যাডাররা!

Slider রাজনীতি সারাদেশ
rajshahi_212351
রাজশাহী ব্যুরো; সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহীর বাগমারা আসনের সাংসদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ করায় মাড়িয়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকবর আলী ও তার ছেলেকে উলঙ্গ করে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার দুপুরে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভাবানীগঞ্জের গোডাউনের মোড়ে পিটিয়ে জামা-কাপড় খুলে ৫০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই সাংসদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আহত দুজনকেই বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আকবর আলী বলেন, সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাচ্ছিলাম। ওই সময় গোডাউন মোড়ের কাছে যেতেই ‘ওই শালা ভোট করিচ্ছু ক্যা? কত সাংবাদিক তুর সাথে আছে?’ বলেই মারপিট করতে থাকেন।’

তিনি জানান, এসময় তারা তাকে ও তার ছেলে শাহজাহান আলীকে পিটিয়ে জামা-কাপড় খুলে নেয়। মারপিটের এক পর্যায়ে তারা ৫০হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করেন।

আকবর আলী জানান, হাসপাতালের ছাড়পত্র পেলেই তিনি থানায় মামলা করবেন।

গত ৭ মে বাগমারা বাগমারার ১৬ টি ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। পরে সাংসদ এনামুলের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে ওই নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান আসলাম আলী আসকান। এতে বিদ্রোহী প্রার্থী হন উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলী এবং সাংসদ এনামুল হকের আপন ছোট ভাই রেজাউল হক।

গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে আকবর আলী ও রেজাউল হক অভিযোগ করেন, সাংসদ এনামুল হক তার স্ত্রী তহুরা হকের নামে এক বিঘা জমি রেজিষ্ট্রি করে নিয়ে মনোনয়ন দেন আসকান আলীকে।

আকবর আলী অভিযোগ করেন, ওই অভিযোগ করার পর পরই সাংসদ এনামুল হকের নির্দেশে তার ক্যডাররা রোববার দুপুরে তার ছেলে শাহজাহান আলী ও তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

তার দাবি, সাংসদ এনামুল হকের ক্যাডার মুক্তার আলী, মিজানুর রহমান, আসাদ, বাবলু, গোলাম মোস্তফা, জাবেদ, ফজলুসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন তাদের ওপর হামলা চালায়।

এব্যাপারে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আসলাম আলী আসকান মোবাইল ফোনে বলেন, আমি এঘটনার সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত না। যারা হামলা করেছে তাদেরকেও চিনিনা।

বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, যারা আকবর আলীকে মেরেছে তারা ছাত্রদল, যুবদলের ক্যাডার ছিলো। গত পৌর নির্বাচনে তারা সাংসদ এনামুল হকের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এরপর থেকে তারা এনামুল হকের ক্যাডার হিসেবেই পরিচিত।

এব্যাপারে সাংসদ এনামুল হকের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বাগমারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) আবুল কালাম আজাদ জানান, হামলার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *