সংসদ কতৃক বিচারক অপসারণের বিধানকে ইতিহাসের দুর্ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছে হাইকোর্ট। ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে একথা বলা হয়েছে। রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, সংসদ কতৃক বিচারক অপসারণের বিধান ইতিহাসের দুর্ঘটনা মাত্র, যদিও পৃথিবীর কোন কোন দেশে তা বিদ্যমান। কমনওয়েলভুক্ত মেজরিটি দেশে সংসদের মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণ করা হয় না। ৭০ অনুচ্ছেদের কারেণে আমাদের দেশের সংসদ সদস্যরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারেন না। দল যে সিদ্ধান্ত নেয় সে পক্ষেই তাদের ভোট দিতে হয়, এমনটি তারা যদি বিষয়টি সঠিক মনে নাও করেন। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বহাল থাকলে বিচারপতিদের সংসদ সদস্যদের করুনা প্রার্থী হতে হবে।
এটর্নি জেনারেল এবং অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর কিছু কিছু দেশে সংসদের হাতে বিচারকদের অপসারণনের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু ওইসব দেশের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আমাদের সংসদ সদস্যদের মেলানো ঠিক হবে না। ওইসব দেশের সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। রায়ে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৫(২) সি অনুচ্ছেদে বিচারক নিয়োগে আইন প্রনয়ণের কথা বলা আছে। ড. কামাল হোসেন ও আমীর-উল ইসলাম বলেছেন, কোন সরকার এই আইন করেনি। এ ব্যপারে আমরাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় একমত পোষণ করি। ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে অবস্থান ব্যক্ত করতে গিয়ে হাইকোর্ট বলেন, প্রথমত কোন জাতীয় ইস্যুতে আমাদের মধ্যে ঐক্যমত নেই। দ্বিতীয়ত, আমাদের সমাজ সুস্পষ্টভাবে বিভক্ত। তৃতীয়ত, কোন দলের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে এই আইন কার্যকর হবে না।
সংসদের মাধ্যমে বিচারক অপসারণে শ্রীলঙ্কা, মালেয়শিয়া ও ভারতে সৃষ্ট জটিলতার উদাহারন টেনে আদালত বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর কারণে আমাদের দেশেও এ ধরণের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। ড কামাল হোসেন বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচার বিভাগকে হেয় করা হয়েছে এবং নাজুক অবস্থায় ফেলা হয়েছে। আদালত এ মতের সঙ্গে একমত পোষণ করে একইসঙ্গে বলেন, বিচারপতি অপসারণের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পদ্ধতি উত্তম পন্থা। হাইকোর্ট বলেন, বিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হচ্ছে সংশোধনীর বিষয়ে জনগণের ধারণা কি ? এটা যদি জনগণ মনে করে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না তাহলে বিচার বিভাগ টিকতে পারে না। ষোড়শ সংশোধনী সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ও ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতির পরিপন্থী। ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হলো।
এটর্নি জেনারেল এবং অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর কিছু কিছু দেশে সংসদের হাতে বিচারকদের অপসারণনের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু ওইসব দেশের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আমাদের সংসদ সদস্যদের মেলানো ঠিক হবে না। ওইসব দেশের সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। রায়ে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৫(২) সি অনুচ্ছেদে বিচারক নিয়োগে আইন প্রনয়ণের কথা বলা আছে। ড. কামাল হোসেন ও আমীর-উল ইসলাম বলেছেন, কোন সরকার এই আইন করেনি। এ ব্যপারে আমরাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় একমত পোষণ করি। ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে অবস্থান ব্যক্ত করতে গিয়ে হাইকোর্ট বলেন, প্রথমত কোন জাতীয় ইস্যুতে আমাদের মধ্যে ঐক্যমত নেই। দ্বিতীয়ত, আমাদের সমাজ সুস্পষ্টভাবে বিভক্ত। তৃতীয়ত, কোন দলের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে এই আইন কার্যকর হবে না।
সংসদের মাধ্যমে বিচারক অপসারণে শ্রীলঙ্কা, মালেয়শিয়া ও ভারতে সৃষ্ট জটিলতার উদাহারন টেনে আদালত বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর কারণে আমাদের দেশেও এ ধরণের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। ড কামাল হোসেন বলেছেন, ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচার বিভাগকে হেয় করা হয়েছে এবং নাজুক অবস্থায় ফেলা হয়েছে। আদালত এ মতের সঙ্গে একমত পোষণ করে একইসঙ্গে বলেন, বিচারপতি অপসারণের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পদ্ধতি উত্তম পন্থা। হাইকোর্ট বলেন, বিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হচ্ছে সংশোধনীর বিষয়ে জনগণের ধারণা কি ? এটা যদি জনগণ মনে করে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না তাহলে বিচার বিভাগ টিকতে পারে না। ষোড়শ সংশোধনী সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ও ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতির পরিপন্থী। ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হলো।