আমাদের পুলিশ তুলনামূলক কম হত্যা করেছে’

Slider সারাদেশ

10027_joy

 

বাংলাদেশের পুলিশ তুলনামূলক কম হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনায় সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রতিবেদনের সমালোচনায় শুক্রবার এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। ওয়াশিংটনের পাল্টা সমালোচনা করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করলে, আমাদের পুলিশ কম হত্যা করেছে এবং আমরা অপহরণ বা নির্যাতনকে কোনভাবেই অনুমোদন করি না। সজীব ওয়াজেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিবেদনকে যারা গুরুত্ব দিচ্ছেন, তাদের জন্যই ফেইসবুকে ওই পোস্ট। এটা তাদের জন্য, যারা মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা কর্তৃক আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনাকে অনেক বড় কিছু মনে করছেন। এই হলো বাস্তবতা যে, ২০১৫ সালে মার্কিন পুলিশ তাদের দেশে ৯৮৬ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায়। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নীতিগতভাবে নারী ও শিশুসহ অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখাও সমর্থন করে। অবৈধ অভিবাসন হচ্ছে একটি দেওয়ানি লঙ্ঘন, এটি কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়।  প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন কারাগারগুলোয় সন্দেহভাজন অপরাধীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একমাত্র দেশ, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্যাতন অনুমোদন করেছে এবং অপহরণ ও নিপীড়নের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন গোপন কারাগারগুলোতে মানুষদের আটক রেখেছে- যাকে তারা বলে, অসাধারণ পথদর্শন। এদের অধিকাংশ হলো সন্দেহভাজন জঙ্গি, কিন্তু এদের মাঝে অনেকেই রয়েছেন যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিরপরাধ নাগরিক, যাদের বছরখানেকের মাঝে বা তারও বেশি সময় পর ছাড়া হয়। এই সময়ের মাঝে তাদের পরিবার জানতে পারেন না যে তাদের অপহরণ করা হয়েছে। এই ‘অসাধারণ পথদর্শন’ কার্যক্রমের ‘সাহায্যকারী’ হিসেবে যুক্তরাজ্যসহ বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশকেও দায়ী করেন জয়। ২০১৫ সালে বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের ওই বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হত্যা ও আইন লঙ্ঘনের ঘটনার তদন্ত বা দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকার খুব কমই নিয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কতো মানুষের মৃত্যু হয়, তার কোনো পরিসংখ্যান সরকার প্রকাশ করে না বলে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *