বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক-আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে মান্নানকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জ্যেষ্ঠ সচিব ও সহকারী সচিবসহ রিটের সংশ্লিষ্ট ছয় বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বছর ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে মেয়র পদ থেকে এম এ মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করে। প্রজ্ঞাপনে জয়দেবপুর থানার একটি ফৌজদারি মামলায় মান্নানের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। গত ৩১ মার্চ ওই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করেন তিনি। সোমবার ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে মান্নানের রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও মো. আবু হানিফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আদেশের পর আবু হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সায়মিক বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত হওয়ায় এখন মেয়র পদে মান্নানের দায়িত্ব পালনে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান জানান, হাইকোর্টে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার বিষয়টি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মান্নানকে গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বারিধারায় তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলায় রয়েছে। এসব মামলায় জামিন পাওয়ার পর ২ মার্চ তিনি মুক্তি পান। এর পরই তিনি মেয়র পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।