ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় ধাপ তুলনামূলকভাবে সুষ্ঠু করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। সরকারী দলের পক্ষে প্রভাব খাটানোর অভিযোগে ইতোমধ্যে একজন এমপি কে শো’কজ ও একজন ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকাল ৩টায় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার তিন ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা জারি করে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী পথসভা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামীলীগ স্থানীয় এমপি কে দায়ী করে পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার দাবি করেছেন বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। এ ছাড়া গত ধাপগুলোর এই সময়ে নির্বাচনী স্বহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বর্তমানে ২ জনের চেয়ে বেশী ছিল। তপসিল ঘোষনার পর থেকে প্রথম ধাপের নির্বাচন পর্যন্ত ১১জন নিহত হয়েছিলেন। তার তুলনামূলক সংখ্যা এখন ২।
প্রথম ও দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ৪২ জন খুন, ভোট ডাকাতি ও ভোট জালিয়তি হওয়ার পর দেশ বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে বিএনপি, জাতীয়পার্টি সহ সরকারের ভেতরে থাকা অন্যান্য দলও নির্বাচন বয়কটের হুমকি দেয়। এতে সরকার বিব্রত হয়েছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন। এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য সরকার তৃতীয় ধাপ সহ বাকী ধাপ গুলো তুলনামূলক ভাবে সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগীতা করতে পারে বলে মনে হচ্ছে।
এই অবস্থায় আজ পর্যন্ত তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে বড় ধরণের কোন স্বহিংসতার খবর পাওয়া যায় নি। বরং প্রভাব বিস্তার ঠেকাতে সাহসী উদ্যোগের খবর পাওয়া গেল। ভাল ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এটা শুভ লক্ষন।
সুতরাং আশা করা যায় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন তুলনামূলক ভাবে সুষ্ঠু হতে পারে। একই সঙ্গে রক্তপাত বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়াও প্রয়োজন।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইন চীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম