মেয়েদের পর ক্যারিবীয় ছেলেরাও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন

Slider খেলা
1459703866
দ্বিতীয় বারের মতো টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডে দেয়া ১৫৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই চাপে পড়ে ক্যারিবীয়রা দলীয় ১১ রানেই হারান ৩ উইকেট। তবে স্যামুয়েলসের ৬৬ বলে ৮৫ রানের উপর ভর করে ২ বল বাকি রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা।
তবে ফাইনলের মতই হলো ফাইনাল। শেষ ওভার পর্যন্তও বলা যায়নি আসলে কে জিতবে। নিঃসন্দেহে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সেরা দুটি দল মুখোমুখি হয়েছিলেন। টান টান উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটিতে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিলো ১৯ রান। বোলার বেন স্টোকস। ব্যাটসম্যান কার্লোস ব্রাফেট। প্রথম বলেই লেগ সাইড দিয়ে ছক্কা।
দ্বিতীয় বলে লং অন দিয়ে আরেকটা বিশাল ছক্কা। পরের বলেই লং অফের ওপর দিয়ে আরেকটি ছক্কা। তাতেই জয় নিশ্চিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের। চতুর্থ বলে আবারও ছক্কা। টানা চারটি ছক্কায় ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারেরমত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এরআগে ব্যাটিংয়ে নেমে রুটের প্রথম ওভার আর দলীয় ২য় ওভারের ১ম বলে বেন স্টোকস তালু বন্দি হয়ে ফিরে যান চার্লস (১) আর ওই ওভারের ৩য় বলে আবারো বেন স্টোকস তালু বন্দি হন গেইল (৪)। উইলির ২য় ওভারের ২য় বলে এলবিডাব্লিউ হন সিমন্স (০)।
এর আগে, শুরতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া ইংল্যান্ড পড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে মরগ্যান শিবির। আর এটা সম্ভব হয়েছে জো রুট ও শেষের দিকে বাটলার, স্টোকস, উইলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে। বিশ্বকাপ ট্রফিতে চুমু খেতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ১৫৬ রান।
টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে রোববার কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টসে হেরে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড। মাঠে নেমে শুরুতেই  ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ইংলিশ শিবির। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার জ্যাসন রয়। স্যামুয়েল বদ্রির বলে সরাসরি বোল্ড তিনি। দুই বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি রয়। ইংল্যান্ডের দলীয় রানও তখন শূন্য।
শুরুর বিপর্যয় কাটাতে পারেননি তারা। বরং দলীয় ৮ রানের মাথায় বিদায় নিয়েছেন আরেক নির্ভরযোগ্য ওপেনার আলেক্স হেলস। তিন বলে এক রান করে তিনি রাসেলের বলে বদ্রীর হাতে তালুবন্দী হন।
এরপর দলীয় ২৩ রানের মাথায় ৩য় উইকেট হারান ইংল্যান্ড। ১২ বলে ৫ রান করে স্যামুয়েল বদ্রির বলে গেইল হাতে তালু বন্দি হয়ে ফিরে যান মরগান।
এরপর বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ জো রুট ও বাটলার। চতুর্থ এই উইকেট জুটিতে তারা তোলে ৪০ বলে ৬১ রান। দলীয় ৮৪ রানে মাথায় বাটলারকে আউট করে এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন কার্লোস ব্রাফেট। ২২ বলে তিন ছয় ও এক চারে ৩৬ রান করে ব্রাভোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাটলার। তবে স্টোকসের সঙ্গে বড় জুটির আভাস দিচ্ছিলেন রুট।
স্টোকসের সঙ্গে পঞ্চম উইকেট ২৬ রান তোলেন রুট। কিন্তু হঠাৎ আবার বিপর্যয়। একে একে বিদায় নেন স্টোকস, মঈন ও রুট। দলীয় রান তখন ১১১। ১১০ রানের মাথায় আউট হন স্টোকস ও মঈন আলী। দুজনেই ব্রাভোর শিকার। স্টোকস ৮ বলে ১২ ও মঈন দুই বলে শূন্য রানে ফেরেন সাজঘরে।
এরপর বিদায় নেন ইংল্যান্ডের ইনিংস মেরামতকারী জো রুট। ব্রাফেটের বলে তিনি ক্যাচ দেনে সুলেমান বেনের হাতে। তবে সাজঘরে ফেরার আগে করে যান ৩৬ বলে ৫৪ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। যেখানে ছিল সাতটি চারের মার। তবে ছিল না কোন ছক্কা।
শেষের দিকে ১৪ বলে ২১ রান করে দলের স্কোর সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেন উইলে। ছোট্ট ইনিংসে উইলের ছিল দুটি ছক্কা ও একটি চারের মার। ১৩ বলে ১২ রানে জর্ডান ও চার বলে চার রানে রশীদ থাকেন অপরাজিত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ব্রাভো ও ব্রাফেট তিনটি, বদ্রী দুটি ও রাসেল একটি করে উইকেট লাভ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *