গ্রাম বাংলা ডেস্ক: “আমি তোমার মনের ভিতর একবার ঘুরে আসতে চাই, আমায় কতটা ভালবাস সে কথাটা জানতে চাই”। আওয়ামীলীগ প্রধান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন মাননীয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মনের ভেতর ঘুরে আসতে গিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টায় ব্যর্থ কণ্ঠ শিল্পী ন্যান্সি এখন ল্যাবএইড হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছেন।
অবচেতন মনে নিজের ফেইসবুকে একটি রাজনৈতিক মন্তব্য করার জের ধরে খেসরত দিতে গিয়ে তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে চেয়েও পারেননি। আমাদের রাজনীতিকে ঘৃনা করে ধিক্কার জানিয়ে প্রথমে ৪০টি ও পরে আরো ২০টি ঘুমের ঔষুধ খেয়েছেন তিনি। বর্তমানে জীবন মৃত্যুও ্রসিন্ধক্ষনে কণ্ঠ শিল্পী ন্যান্সি।
শনিবার রাত থেকে অদ্য পর্যন্ত বিভিন্ন মিডিয়ায় ন্যান্সি সম্পর্কে দেয়া অসংখ্য খবর পাঠ করে ন্যান্সির আত্মহত্যা চেষ্টার আর কোন কারণ খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ একটাই মনে হচ্ছে যে, ন্যান্সির গানই তার কাল হয়ে খোঁদ শিল্পীকেই আক্রমন করে বসেছে। রাজনৈতিক থাবায় হতাশ হয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন।
নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। একজন খ্যাত নামা কণ্ঠ শিল্পী। তিনি কোন রাজনীতি করেন না। বাংলাদেশের একজন শান্তিপ্রিয় নাগরিক। তিনিও বাদ পড়েন নি আমাদের গুণেধরা গনতন্ত্রের থাবা থেকে। রাজনৈতিক দূর্বাত্তায়নের শিকার এই তরুনী এখন মৃত্যু শয্যায়। ফেইসবুকে তার নিজের আইডিতে মন খোলাভাবে একটি মন্তব্য করায় তিনি বিরাগভাজন হন রাজনৈতিক দলের। স্ট্যাটাসে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করায় ক্ষিপ্ত হয় সরকার দলীয় নেতা-কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করা মন্তব্যের সূযোগটিও হাত ছাড়া করেন নি বিএনপির নেত্রী। তিনি ন্যান্সিকে ডেকে কথা বলেছেন শান্তনা দিয়েছেন।
এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়েছে আওয়ামীলীগ। ফলে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা ন্যান্সির ক্যারিয়ারে আক্রমন করে বসেন। রাজনৈতিক দূর্বাত্তায়নের গেঁড়াকলে পড়ে ন্যান্সির ক্যারয়িারে ধস নামে। বাতিল হতে থাকে একের পর এক গান গাওয়ার চুক্তিপত্র। গানের আগের দিন চুক্তিগুলো বাতিল হওয়ায় মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন এই কণ্ঠশিল্পী। একের পর এক তার ক্যারিয়ারের ধস প্রসারিত হওয়ায় অর্থকষ্টে পড়ে সংসারেও নেমে আসে টানা-পোড়েন। ফলে জিরো থেকে হিরো হওয়া এই কণ্ঠ শিল্পীর পারিবারিক অশান্তির মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে। আপাতত মনে হচ্ছে ওই হতাশা থেকেই সৃষ্ট মানষিক যন্ত্রনার বলি হতে চেয়েছিলেন তিনি।
আমরা গণতন্ত্র চাই ভাল ভাবে বাঁচার জন্য। গণতন্ত্র আমাদের হত্যা করবে এমনটি আামদের চাহিদা নয়। কথিত গণতন্ত্রের অত্যাচারে ন্যান্সির মত আরো কত ন্যান্সি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, আত্মহত্যাও করেছেন তার হিসেব হয়তো আমাদের কাছে নেই, তবে পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে সংখ্যাটা মন্দ নয়।
গণতন্ত্রের নামে মানুষ পুঁড়ে মারা হচ্ছে। গণতন্ত্রের নামে ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের নামে ভোট লুট করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। জাতি যা জানে তা উল্টিয়ে বলা হচ্ছে। বিএনপি ৪৮টি আসনের ভোট ছাড়া সরকার গঠন করেছিলো। আওয়ামীলীগ ১৫৩ আসনের ভোট ছাড়া সরকার পরিচালনা করছে। আর এরশাদ ৯ বছর দেশ শাসনের ক্ষেত্রে ভোটের প্রয়োজন মনে করেন নি। আমরা জনগণ। গণতন্ত্রের ভাষায় যদি বলি, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। এই কথাটি এখন লজ্জ্বার। এখন মনে হচ্ছে জনগন গনতন্ত্রের শিকার। জনগণ গনতন্ত্রেও বলি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান যে গণতন্ত্রের কথা বলে ওই গণতন্ত্র এখন নাই। তাই আামদের অশুভ গণতন্ত্র চলমান রাখলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গণতন্ত্র পরিবর্তন করা উচিত।
সুতরাং, আমরা চাই না, আমাদের গণতন্ত্র আমাদের হত্যা করুক। যে ভোট আমাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠ করবে সে ভোট যদি আমাদের হত্যা করে তবে নিয়ে যান ভোটের অধিকার। লাগবে না আমাদের ভোট দেয়ার ক্ষমতা। আপনারাই চালান রাষ্ট্র। আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ভোটের প্রয়োজন নাই। আর যেন কোন দিন ভোট না আসে।