ভোলাহাটে স্বামী ছিনতাইয়ের অভিযোগ

Slider বাংলার সুখবর

5276_72

চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুরাইয়া ডলির বিরুদ্ধে স্বামী ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ বছর আগে ভোলাহাট উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার বিয়ে হয়। সেই পরিবারে সংসার জীবনে দু’কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। বড় মেয়ের বিয়েও হয়েছে। ছোট মেয়ে পড়াশোনা করছে। আর এরই মধ্যে স্বামীর ঘর ছেড়ে রাজনীতির অজুহাতে ছোটাছুটি করার সুযোগ নিয়ে একই উপজেলার একামত আলী নিফুর সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। ওই নেত্রী গত বছরের ১৫ই নভেম্বর তার স্বামীকে তালাক দিয়ে গত ২২শে ফেব্রুয়ারি নিফুকে বিয়ে করেন। ২ সন্তানের জনক নিফু উপজেলার ছোট জামবাড়ীয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে। উল্লেখ্য, ডলি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির হাত ধরে গত উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটে অংশ গ্রহণ করে পরাজিত হন। পরে নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে একপর্যায়ে তিনি ভোলাহাট উপজেলা মহিলা যুবলীগের সভাপতি হন। এ ছাড়াও চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ হাতিয়ে নেন তিনি। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে দলকে পুঁজি করে সব সময় তিনি বেশ ব্যস্ত নেত্রী হিসেবে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ান। দলের শীর্ষ পদের নেত্রী বনে গিয়ে রাজশাহীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এরই মধ্যে নিজ স্বামীকে তালকা দিয়ে অন্যের স্বামী ছিনতাই করে বিয়ে করেন তিনি। এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন উঠতে থাকে। এমতাবস্থায়, দাম্ভিকতার সঙ্গে তিনি নিজেকে রাজনীতি অঙ্গনের সেরাটা ভাবছেন এখনও। এ ব্যাপারে ডলি ও নিফুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিয়ের কথা স্বীকার করেন। নিফুর বড় স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, আগের স্বামীর সঙ্গে যাতায়াত রেখেই কথিত নেত্রী ডলি তার স্বামীকে ছিনতাই করে গোপনে বিয়ে করেছেন। এদিকে, স্থানীয় নেতাকর্মীরা এ দুর্গন্ধকে ছুড়ে ফেলে দলকে দায়মুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *