মাশরাফিকে ‘দলের পিতা’ বলল ভারতীয় মিডিয়া

Slider খেলা

2016_03_03_16_19_43_BM9ILK0G1tsVL1jGPJYTvvvp0N1bz9_original

 

 

 

 

ঢাকা: মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ পাচ্ছে একের পর এক সাফল্য। এতে চমকে যাচ্ছে ক্রিকেট দুনিয়া। কিন্তু বাংলাদেশ দলে তার নেতৃত্বের ভারও এসেছে চমক নিয়েই। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ব্যাটিংয়ে ফর্মে থাকা মুশফিকুর রহিমের ওপর চাপ কমাতে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। দায়িত্ব বর্তায় অভিজ্ঞ পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজার কাঁধে। দায়িত্ব পেয়ে বিশ্বকাপেই চমক দেখান তিনি। বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে তোলেন অধিনায়ক মাশরাফি। এগিয়ে যাওয়ার শুরুটা তখন থেকেই। এরপর তো নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়।

ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য ‘টিম বাংলাদেশ’ গড়ে তোলেন মাশরাফি। তার নেতৃত্বে দলের ভারসাম্য চোখে পড়ার মতো।গত বছর ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকাকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। দীর্ঘ ১৬ বছর পর পাকিস্তানকে দেয় হারের স্বাদ। এখানেই শেষ নয়, আজহার আলীর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের ওয়ানডে দলকে তো বাংলাওয়াশ করে ক্রিকেট দুনিয়ায় বেশ হইচই ফেলে দেন মাশরাফি-সাকিব-তামিমরা।

এবারের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে টি-২০ ফরম্যাটে। তার পরেও অনভ্যস্ত টি-২০তেও বাংলাদেশকে নিয়ে বাজিমাত করেছেন মাশরাফি। বুধবার মিরপুরে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে তার অধিনায়কত্বে। সত্যিই দারুণ। দল যেভাবে খেলে যাচ্ছে তাতে ফাইনালে ভারত বধের গল্প লেখার ভূমিকাটা আগেই লিখে রাখা যায়, বাকিটা ফাইনাল শেষে।

এদিকে মাশরাফিকে প্রশংসার বানে ভাসাচ্ছে ভারতীয় মিডিয়া। আনন্দবাজার যেমন মাশরাফিকে ‘দলের পিতা’ বলেই আখ্যা দিয়েছে। তাদের এক প্রতিবেদনে লেখা হয় এভাবে, ‘মাশরাফি শুধু টিমের অধিনায়কই নন, দলের পিতা। বলা যেতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেটের মাইক ব্রিয়ারলি। তার বলের গতি এখন একশো তিরিশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে। ব্যাটেও নিয়মিত প্রচুর রান করে দেন, এমন নয়। তবু মাশরাফিকে বাদ দিয়ে টিম নামানো যায় না।কারণ গোটা দলের রিমোট সব সময় তারই হাতে। তিনি প্লেয়িং আবার এক অর্থে নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেনও। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আজ অবধি কেউ এমন লোকগাথার নায়ক হয়ে উঠতে পারেননি। তা তাকে ঘিরে অতিমানবীয় রূপকথার প্রলেপে বুধবার আর একপ্রস্ত আবির লাগিয়ে দিলেন মাশরাফি। কার্যত সেমিফাইনাল ম্যাচের কঠিনতম সময়ে পরপর দুটো বাউন্ডারি মারলেন বিপক্ষের ভয়ঙ্কর মোহাম্মদ আমিরকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *