মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ৭২ হাজার ২৫৭ জন বেড়েছে।
সোমবার শুরু হতে যাওয়া ২০১৬ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২৮ হাজার ১১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন।
শনিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি জানান, এ বছর মোট ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে আট লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র এবং আট লাখ আট হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী।
আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ চার হাজার ২৭৪ জন। এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৫ জন ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৮ হাজার ৩৮৪ জন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর তিন হাজার ১৪৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত হবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ৯ থেকে ১৪ মার্চ।
এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। গত বছর চালু হওয়া শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা বিষয়েও এবার সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। প্রথমে হবে বহুনির্বাচনী পরীক্ষা। এরপর ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে শুরু হবে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা।
এবার বিদেশের আটটি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে ৪০৪ জন শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে ছাত্র ২০১ জন ও ছাত্রী ২০৩ জন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন পরীক্ষার্থীরা শ্রুতি লেখকের সহায়তা নিতে পারবে। এছাড়া এ ধরনের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রতিবারের মতো এবারও পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হবে।