ষ্টাফ করেসপনডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস: তোবা গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় দুই শ্রমিক নেতা আটকের প্রতিবাদে আহত পোষাক শিল্পে ধর্মঘট পালন নিয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলো দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। আন্দোলনকারী সংগঠনের মধ্যে সাংগঠনিক অনৈক্য থাকায় ঘোষিত শ্রমিক ধর্মঘটের কৌশল নির্ধারণ হচ্ছে না। তবে শুক্রবার বিকেলে বিভিন্ন পয়েন্টে শ্রমিক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহসপতিবার ঢাকা থেকে অনির্দিষ্টকালের শ্রমিক ধর্মঘট আহবানের পর শিল্প অধ্যষিত গাজীপুর জেলায় শ্রমিক নেতাদের তেমন তৎপরতাও দেখা যায়নি।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর একাধিক সূত্র বলছে, অতীতে রাজপথে থাকা গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের গাজীপুর জেলার সভাপতি জিয়াউল কবীর কি ধরণের কর্মসূচি পালন করবেন এ সম্পর্কে তিনি কিছু বলছেন না। তবে কাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় গাজীপুর মহানগরের বড়বাড়ি এলাকায় ও চান্দনা চৌরাস্তায় সাংগঠনিক প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে জিয়াউল কবীর বলেছেন, আন্দোলন কর্মসুচি পালনের নীতি এখনো চুড়ান্ত ভাবে নির্ধারণ করা হয়নি।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, জিয়াউল কবীর খোকনের বিপরীতে গঠন করা পোষাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের গাজীপুর জেলার যুগ্ম আহবায়ক হয়েছেন জনৈক আকাশ আহমেদ। তবে গাজীপুর জেলায় এই সংগঠনের অস্তিত্ব খোঁজে পাওয়া না গেলেও কাল তারা মাঠে থাকবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মোশরেফা মিশুর সংগঠন গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের গাজীপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল হোসেন। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দুলাল হোসেনের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
প্রতিটি শ্রমিক আন্দোলনে রাজপথে বলিষ্ঠভূমিকা পালনকারী কমিউনিষ্ট পার্টির গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক এড. আসাদুল্লাহ বাদল বলেছেন, শনিবার একটি কর্মসূচি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তবে তা স্পষ্ট নয়। শুক্রবার কোন কর্মসুচি আছে কি না তা তিনি বলতে পারেননি। তবে শ্রক্রিবার বিকালে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, শ্রম মন্ত্রী কর্তৃক ১০ আগেষ্টর মধ্যে তোবা গার্মেন্ট কর্মীদের বেতন পরিশোধের ঘোষনা দেয়ার পর শ্রমিক আন্দোলন হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীন হয়ে আসছে। শুক্রবার অধিকাংশ পোষাক প্রস্তুত কারখানায় ছুটি থাকায় ধর্মঘটের তেমন কোন প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।
গাজীপুর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক(ডিআইওওয়ান) জসিম উদ্দিন বলেছেন, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। কেউ যেন শ্রমিক আন্দোলনের নামে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে দিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে।