গ্রাম বাংলা ডেস্ক: ছবিতে হাতে হাত রেখে পাশাপাশি বিছানায় শুয়ে আছে এক দম্পতি। এদের একজন মৃত। অন্যজন তখনো মৃত্যুর প্রহর গুণছেন। আর এ সময়ের ছবিটা তুলে রেখেছেন তাদের নাতনি মেলিসা স্লোন।
স্লো তখনো জানতো না তার দাদিমা সিম্পসন মারা যাওয়ার ঠিক চার ঘণ্টা পরই মারা যাচ্ছেন দাদা ডন।
৬৩ বছর একসাথে কাটানোর পর একই দিনে মারা গেলেন তারা।
চল্লিশের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বেকরাসফিল্ডে বোলিং অ্যালেতে পরিচয় হয় ডন ও ম্যাক্সিমের। আর গত সপ্তাহে পাশাপাশি বিছানায় শুয়ে মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে মারা গেলেন দু’জনে। মৃত্যুশয্যায় এক সাথের এই শেষ ছবিটা সংগ্রহ করে রেখেছে তাদের পরিবার।
স্থানীয় এক নিউজ স্টেশনকে তাদের নাতনি মেলিসা স্লোন জানান, তারা একসাথে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। ঘটনাটা আমাদের কাছে অসাধারণ। আমার দাদা ডন সবসময়ই ভালোবাসার মানুষের সাথে থাকতে চাইতেন। দাদিমাকে তিনি পৃথিবীর সব থেকে বেশি ভালোবাসতেন।
ডন ও ম্যাক্সিম, দুইজনই ছিলেন রোগী। পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙে গিয়েছিলো ডনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আর ম্যাক্সিম ছিলেন ক্যান্সারে আক্রান্ত। ডনের সাথে তাল রেখে তারও অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
পরিবারের ইচ্ছায় তারা বাড়িতে একই ঘরে থাকতে শুরু করেন। স্লোন জানান, দাদিমা যখন মারা যান তখন তার হাত ধরে ছিলেন দাদা। ওনারা জানতেন একে অপরের পাশেই রয়েছেন। দাদাকে ওই ঘর থেকে বের করে নিয়ে আসার পরই তিনি মারা যান। দাদিমার মৃত্যুর মাত্র চার ঘণ্টা পর। এটাই বোধহয় ওনাদের সেরা মৃত্যু।
সূত্র: ইন্টারনেট