লাইফস্টাইল

 

feture_bg_302094479

 

 

 

 

ঢাকা: আধুনিক নগরায়নে আবদ্ধ থাকতে থাকতে মনে হতেই পারে পালিয়ে যাই দূর পাহাড়ে। অনেকেই কল্পনায় পাহাড়ের পুরনো গুহায় ঘরও বেঁধে ফেলেন। তবে এ কাজটি আধুনিক পৃথিবীতে কেউ কেউ সত্যি সত্যিই ঘটিয়ে ফেলেন।

সম্প্রতি প‍ুরনো গুহাকে সত্যিকারে বিলাসবহুল বাড়ি বানিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো মাস্ত্রোপিয়েত্রো নামে এক ব্যক্তি। স্বপ্নকে সত্যি করতে তিনি দুইশো ৫০ মিলিয়ন বছরের পুরনো গুহাকে বসবাসযোগ্য করে তুলেছেন। থাকছেনও বৈকি! ওরচেস্টারশায়ারের ওয়ায়ের ফরেস্টে অবস্থিত এ গুহাবাড়িতে রয়েছে আগা রেঞ্জ কুকার থেকে শুরু করে স্নানের জন্য রেইনফল শাওয়ার।

এক কোটি ৮১ লাখ ৭৯ হাজার মার্কিন ডলার ও প্রায় এক হাজার ঘণ্টা ব্যয় করে গুহাটি কাটা হয় ও গর্ত করা হয়। গুহাতে রয়েছে যথেষ্ট পানি সরবরাহ ও অ‍ান্ডার ফ্লোর হিটিংয়ের ব্যবস্থা। ওয়াইফাইও রয়েছে এখানে।
৩৮ বছর বয়সী মাস্ত্রোপিয়েত্রো অস্ট্রেলিয়ার একটি স্বনামধন্য নিয়োগ কোম্পানির প্রধান। তিনি প্রথম ওরচেস্টারশায়ারে আসেন ১৯৯৯ সালে।

গুহাটি এখন থেকে তিনশো বছর আগে চার বেডরুমের একটি অ‍াবাসস্থল ছিলো। ১৯৪০ সালের শেষের দিকে তা পরিত্যক্ত হয়।
২০১০ সালে মাস্ত্রোপিয়েত্রো গুহাটি কিনে নেন। ইউরোপের সবচেয়ে পুরোনো পাথুরে বাসস্থান হিসেবে পরিচিত এ গুহাটির দাম পড়ে ৭০ লাখ ১৭ হাজার মার্কিন ডলার প্রায়।

গুহাটিকে বসবাসযোগ্য করতে ৭০ থেকে ৮০ টন পাথর খোদাই করতে হয়েছে। তবে ঘরের দেওয়ালে গুহার স্বাভাবিক টেক্চার অপরিবর্তনশীল রাখা হয়েছে।

মাস্ত্রোপিয়েত্রো জানান, তিনি একটি শান্ত আর শান্তিপূর্ণ বাড়ি চাচ্ছিলেন। বিদ্যুৎ ও পানি তো অবশ্যই, অ‍াধুনিক জীবনের সব ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।

এ বাড়িতে রয়েছে একটি বিরাট বারান্দা, লাগোয়া ঘর ও উজ্জ্বল ধবধবে সাদা দেওয়াল। আরও রয়েছে কাচের দরজা ও ওক গাছের কাঠের ফ্রেমের জানালা।

তিনি বলেন, আমি এই গুহাজীবন আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করতে চাই। তাই এখানে আধুনিক জীবনের বিলাসিতাও যুক্ত করেছি।

আধুনিক জীবনকে এমনভাবে কাটাতে চাই যেখানে গুহাতে বসবাসের অনুভ‍ূতি থাকবে। জানান মাস্ত্রোপিয়েত্রো।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।v

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *