শুরু হলো বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব

বিনোদন ও মিডিয়া

KZ_bg_551077722

 

 

 

 

 

বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে চতুর্থবারের মতো শুরু হলো পাঁচ দিনের বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর.এফ. হোসেন এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চীফ অপারেটিং অফিসার মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।  এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে বরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে।

রাজধানীর বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় মিনু হকের পরিচালনায় পল্লবী ড্যান্স সেন্টারের ভরতনাট্যম নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রথম দিনের অনুষ্ঠান। নৃত্য পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন এ. বি. এম. শহিদুল ইসলাম, অনিক বোস, অন্তু মজুমদার, দীপ নারায়ণ রায়, দিপাবলী মোদক, ফারাহ্ দিবা রহমান, হাসিবুল হাসান, কস্তুরি মুখার্জী, মোঃ এমদাদুল হক, মোঃ মামুন খান, মোঃ নূরে আলম চন্দন, মিতা বিশ্বাস, মন্দিরা কুড়ি, মুনমুন বিশ্বাস, নাসিরুল ইসলাম, নাজনীন আলম, ঐন্দ্রিলা চক্রবর্তী, রুম্পা বিশ্বাস, সাইফুল ইসলাম, সালমা বেগম, স্মিতা দে, সুব্রত কুমার দাস এবং তোফায়েল আহমেদ। পরিবেশনা শেষে মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল পল্লবী ড্যান্স সেন্টারের পরিচালক মিনু হকের হাতে উৎসব স্মারক তুলে দেন।

এরপর পণ্ডিত সুরেশ তালওয়ালকারের তত্ত্বাবধানে বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থী চিন্ময় ভৌমিক, ফাহমিদা নাজনীন, এম জে জেসাস ভুবন, মীর নকিবুল ইসলাম, নুসরাত ই জাহান, পঞ্চম স্যানাল, প্রশান্ত ভৌমিক এবং সুপান্থ মজুমদার পরিবেশন করেন তবলা কীর্তন। তাদের সঙ্গে হারমোনিয়ামে লহরা বাজিয়েছেন অজয় যোগলেকর। পরিবেশনা শেষে বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে উৎসব স্মারক তুলে দেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের পর ছিলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ধ্রুপদ। পরিবেশনাটি পরিচালনা করেন সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. অসিত রায়, পরিচালকের সহযোগী হিসেবে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক শলোক হোসেন। ধ্রুপদ পরিবেশনায় ছিলেন অনামিকা সরকার, অর্পিতা চক্রবর্তী, হুমায়ূন কবীর, মনিশ বিশ্বাস, মৌসুমী বিশ্বাস, শুভেন্দু সরকার এবং তনুশ্রী সেন। তাদের সঙ্গে পাখওয়াজে সংগত করেন সংগীত বিভাগের লেকচারার আলমগীর পারভেজ। প্রথমে ছিলো দলীয় কণ্ঠে রাগ মালকোশ। এরপর আলাপ জোড় আর ঝালা যোগে চৌতালে পরিবেশন করেন সনাতন ধ্রুপদ ‘জয়তি জয়তি শ্রী গণেশ’। সুলতালে বাঁধা পরের গানটিও সনাতন ধ্রুপদ ‘শঙ্কর গীরিজাপতি’।

প্রথম দিনের আয়োজনে আরও থাকছে সংগীত পরিবেশন করবেন জয়াপ্রদা রামমূর্তি (কর্ণাটকি বাঁশি), রাহুল শর্মা (সন্তুর), কৌশিকী চক্রবর্তী (খেয়াল), পণ্ডিত কুশল দাস (সেতার) এবং বিদুষী বোম্বে জয়শ্রী (কর্ণাটকি সংগীত)।

শনিবার (২৮ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের উৎসব শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। চলবে পরদিন ভোর ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত। দ্বিতীয় দিনের উৎসবে অংশ নেবেন অভিজিৎ কুণ্ডু (ধ্রুপদ), জয়ন্তী কুমারেশ (সরস্বতী বীণা), সুস্মিতা দেবনাথ (খেয়াল, বেঙ্গল পরম্পরা), পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকার (ধ্রুপদ),  পণ্ডিত সুরেশ তালওয়ালকার (একক তবলা), ড.বালমুরালী কৃষ্ণ (কর্ণাটকী সংগীত) ও তার সঙ্গে বাঁশিতে থাকবেন পণ্ডিত রণু মজুমদার, শুভায়ূ সেন মজুমদার (এস্রাজ) এবং পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী খেয়াল)।

প্রায় ২০০ জন সংগীত ও নৃত্যশিল্পী অংশ নিচ্ছেন এবারের আয়োজনে। অনুষ্ঠানের সম্প্রচার সহযোগী মাছরাঙা টেলিভিশন। ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ব্লুজ কমিউনিকেশনস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *