সাকার দাফন সম্পন্ন

Slider জাতীয়

1448129875

 

 

 

 

 

চট্টগ্রাম: কঠোর পুলিশি প্রহরায় রাউজানের গহিরায় গ্রামের বাড়িতে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (২২ নভেম্বর) সাড়ে ৯টার দিকে পৌর এলাকার মধ্যগহিরায় গ্রামের বাড়ি ‘বাইতুল বিল্লালে’র পাশে পারিবারিক নতুন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

মূল পারিবারিক কবরস্থানে জায়গা  উঠানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির মুহিবুল্লাহ বাবুগরী।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে কঠোর প্রহরায় মরদেহ সরাসরি বাড়ির উঠানে জানাজাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার ছেলে হুম্মাম ও স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী তাকে ফের গোসল করাতে চান। যদিও পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা আর হয়নি।

এর আগে সকাল পৌনে ৯টার দিকে বাড়িতে পৌঁছান সাকার স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, মেয়ে ফারজিন কাদের চৌধুরী, ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

তবে সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বাড়িতে যান সাকার আরেক ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী ও তার স্ত্রী দানিয়া খন্দকার।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মুস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৯টায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি ‘বাইতুল বিল্লাল’ এ পৌঁছায়। উঠানে তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে ভাইয়ের পাশে তাকে দাফন করা হচ্ছে।

এর আগে সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে প্রবেশ করে সাকা চৌধুরীর মরদেহবাহী গাড়ি।

এরপর তা বারইয়ারহাট, বড়দারোগার হাট, সীতাকুণ্ড বাজার, কুমিরা ভাটিয়ারী হয়ে বিএমএ সংলগ্ন সড়কে হাটহাজারী হয়ে গহিরায় পৌঁছায়।

এদিকে গহিরা এওয়াইজেডএম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা আয়োজনের জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চান সাকার চাচাতো ভাই ফেরদৌস কাদের চৌধুরী।

কিন্তু নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সাকা পরিবারের উঠানে জানাজা আয়োজনের অনুমিত দেয় পুলিশ।

এএসপি মুস্তাফিজ বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে বাড়ির উঠানেই জানাজার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সাকার দাফনকে কেন্দ্র করে রাউজানের গহিরা ও আশপাশের এলাকায় শনিবার রাতে ১০ প্লাটুন পুলিশ ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

রোববার সকালে আরও ১০ প্লাটুন পুলিশ ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে ভোর ৩টা ১০মিনিটে রাউজান পৌর এলাকার গহিরায় সাকার পারিবারিক নতুন কবরস্থানে কবর খোঁড়া শুরু হয়। যা শেষ হয় ভোর ৬টায়।

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির দণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৯ অক্টোবর আপিল করেন সাকা। তবে সর্বোচ্চ সাজার প্রেক্ষিতে আপিল করেননি রাষ্ট্রপক্ষ। গত ১৮ নভেম্বর সেই আবেদন খারিজ করে ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

শনিবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান সাকা। কিন্তু ক্ষমা পাননি তিনি। যদিও কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করে ছেলে হুম্মাম বলেছেন, তার বাবা প্রাণভিক্ষা চাননি।

এদিকে সাকা ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে আরেকটি দায়মুক্তির ইতিহাস রচিত হলো। তার আগে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও চলতি বছরের ১১ এপ্রিল কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *