তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ হলের ভেতর নিয়ে একটি বাসে আগুন দিয়েছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলামের কর্মীরা। এ সময় বাসটির সুপারভাইজার ও হেলপারকে মারধর করে তারা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায় । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, শহীদুল্লাহ হলের আসাদ, ইমরান, তৌকির, রানা, তৌহিদসহ ১৫-২০জন ছাত্রলীগ কর্মী গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার এলাকা থেকে বাসটি এনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ভাংচুর করে। স্কাই পরিবহনের যাত্রীবাহী এ বাসটি আবদুল্লাপুর-সদর ঘাট রুটে চলাচল করে। মারধরের শিকার ওই বাসের হেলপারের নাম ফারুক এবং সুপারভাইজারের নাম মিলন। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
হাসপাতালে বাসের চালক মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহীদুল্লাহ হলের ১৫-২০ শিক্ষার্থী গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের কাছে যায়। এসময় স্কাই লাইন পরিবহনের একটি বাস সেখানে আসলে তারা বাসটিতে উঠে ড্রাইভারকে হুমকি দিয়ে শহীদুল্লাহ্ হলের সামনে নিয়ে আসে। পরে বাসের চালক মোহাম্মদ আলী, হেলপার ফারুক ও সুপারভাইজার মিলনকে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করে এবং বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট এসে বাসের আগুন নেভায়। এতে বাসটির কিছু অংশ পুড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে বাসে অগ্নিসংযোগের আগে ভাংচুর করা হয়েছে বলে জানা যায়। পরে আহত অবস্থায় হেলপার-সুপারভাইজারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে স্কাই লাইনের এক বাসের হেলপার ও সুপারভাইজার ওই হলের এক শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে হল প্রশাসন। তবে সব জায়গায় ছাত্রলীগকে জড়ানো ঠিক না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এমএম আমজাদ এবং হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আইনুল ইসলামকে বারবার ফোন দেয়া হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।