গাজীপুর: শিক্ষকদের দোকানদার বলায় গাজীপুর জেলার সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম এর অপসারণ দাবিতে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষকদের দোকানদার বলায় গঠিত তদন্ত কমিটির সামনে এবার অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদের বললেন গার্মেন্টস কর্মী।
১০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১ টায় গাজীপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস কার্যালয়ে শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালামের অপসারণ চেয়ে শিক্ষক দের অভিযোগের তদন্ত চলে দুপুর ২ টা পর্যন্ত। তদন্ত চলাকালীন তদন্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উপস্থিত কয়েকশত শিক্ষক মন্ডলীদের গার্মেন্টস কর্মি বলে পুনরায় কটূক্তি করেন অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম। এ সময় উপস্থিত শিক্ষক মন্ডলী তিব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বে আব্দুস সালামের অপসারণ দাবি করেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সদর উপজেলায় সদ্য যোগদানকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম গত ১৪ জানয়ারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে বই না দেওয়ার ঘোষণা দেন। নিজ কার্যালয়ে শিক্ষকদের আমন্ত্রণ করেও তিন শতাধিক শিক্ষককে দুই ঘন্টা বসিয়ে রেখে সাক্ষাৎ করেননি। তিনি মুঠোফোনে শিক্ষকদের সাথে অশালীন আচরণ করেন। কিন্ডারগার্টেন স্কুল সমূহকে দোকান ও শিক্ষকদের দোকানদার বলে আখ্যায়িত করে দোকান গুলো বন্ধের ঘোষণা দেন। । পরবর্তীতে ঐদিন সন্ধ্যায় মোঃ ইসমাঈল হোসেন, মোছাদ্দিকুর রহমান ও মাসুদুর রহমানের নাম উল্লেখ করে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক গংদের আসামি করে সদর মেট্রো থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে পরবর্তীতে অভিযোগ প্র্যত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
জনা যায়, বই বানিজ্য, নিবন্ধন বানিজ্য, কটুক্তি ও মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে সম্মানহানির প্রতিবাদে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
তদন্ত কমিটি শিক্ষকদের পক্ষে গাজীপুর কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাঈল হোসেন, কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর সভাপতি মোঃ মোছাদ্দিকুর রহমান,বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এর গাজীপুর জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র মন্ডল, গাছা প্রাইভেট স্কুল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন, গাজীপুর বেসরকারি স্কুল সোসাইটির বাসন থানা সভাপতি মোঃ শহীদ মন্ডল, শিক্ষক নেতা মোঃ আব্দুল হালিম, মোঃ আলাউদ্দিন, আলাহাজ্ব মোঃ মাসুদুর রহমান (বাসন), খলিলুর রহমান,মোঃ বেলায়েত হোসেন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন সারোয়ার, মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ আনোয়ার হোসেন, রওনক উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন রানা, মাসউদ সিদ্দিকী, মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচাল তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা উভয়ের বক্তব্য ও ডকুমেন্টস নিয়েছি। প্রতিবেদন জমা দিবো কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দেয়।