টাঙ্গাইল-৪ (কালহাতী) উপনির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর জন্যে নির্বাচন কমিশনের কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার ইসির উপ-সচিব সামসুল আলম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারকে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, প্রার্থী যদি আইন-বিধি না মানে তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দল ও আচরণবিধিমালার ১৮ ধারায় অভিযোগ আনা যাবে। সেই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবস্থাও রয়েছে। বিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা সমপরিমাণ অর্থদণ্ড করা যাবে। প্রার্থীরা আইন শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটালে তা বিবেচনায় নিয়ে বাহিনী ক্ষমতাপ্রাপ্ত রয়েছে। আর এর জন্যে ইসির পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, কাদের সিদ্দিকী উপ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণার সময় শুরুর আগে থেকেই বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, মিছিল-মিটিং, শোডাউন করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের বিশেষ শাখার পক্ষ থেকে রিটার্নিং অফিসারকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এজন্যে ইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কমিশন এ চিঠি দেয়।
প্রতীক বরাদ্দ বৃহস্পতিবার
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে টাঙ্গাইল-৪ আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এরপর থেকে প্রচারণা শুরু করতে পারবেন তারা বলে জানান উপ-নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম।
এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ইমরুল কায়েস ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) আতাউর রহমান খানের প্রার্থিতা চূড়ান্ত হয়েছে।
কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনার কথা শুনেছি, তবে এ বিষয়ে কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি। কাগজ পেলে সিদ্ধান্ত।’
উল্লেখ্য, আগামী ১০ নভেম্বর টাইঙ্গাল-৪ আসনের উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।