বুলেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে বাপ্পি

Slider টপ নিউজ


গাজীপুরের শ্রীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে বুলেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে বাপ্পি (১৬) নামে নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী। চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার পরিবার এখন নিঃস্ব। টাকার অভাবে প্রায় বন্ধ রয়েছে বাপ্পির চিকিৎসা।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে পরিবারের অসহায়ত্বের কথা জানান বাপ্পির বাবা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত বাপ্পি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার তললী গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকে। বাপ্পি স্থানীয় শ্যামা মডেল একাডেমীর নবম শ্রেণীর ছাত্র।

জানা গেছে, গত আগস্টে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে যখন হত্যালীলায় মেতে উঠে,

গত ৩ আগস্ট গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশপাশের এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয় ছাত্র-জনতা। তখন ছাত্র-জনতার পক্ষে আন্দোলনে প্রথম সারিতে অংশ নেয় বাপ্পি। এসময় কেওয়া বকুলতলা এলাকায় পুলিশের ছোড়া বুলেট বাপ্পির কোমরের পেছনে বিদ্ধ হয়। বুলেটের আঘাতে বাপ্পির নাড়িভুঁড়ি সাত জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে মাসব্যাপী তার চিকিৎসা করানো হয়। কয়েকটি অস্ত্রোপচারও করা হয়, কেটে ফেলা হয় পায়ুপথ। টাকার অভাবে এখন প্রায় বন্ধ তার চিকিৎসা।

বাপ্পির বাবা মোজাম্মেল বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চিকিৎসা ব্যয় বাবদ ৯ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। এই টাকার বেশিরভাগই আমার ব্যবসার মূলধন ও স্বজনদের কাছ থেকে ঋণ বাবদ নেওয়া। এখন ঋণের টাকার চাপ ও ছেলে চিকিৎসার খরচ জোগাতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাপ্পিকে নিয়ে ভয়ে আছি, তার শরীরে পচন ধরে গেছে। অভাবের কারণে ঠিকমতো চিকিৎসা করতে পারছি না। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার টাকা বাকি রয়ে গেছে। এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাকি টাকার জন্য মামলার হুমকি দিচ্ছে।

এদিকে শুক্রবার বাপ্পিকে দেখতে গেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাএস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। তিনি বাপ্পির চিকিৎসায় সহায়তার আশ্বাস দেন। এসময় বাড়ির মালিক পৌর বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম প্রিন্স আহত বাপ্পির পরিবারের বাড়ি ভাড়ার বকেয়া ৭০ হাজার টাকা মওকুফ করে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *