সৌদি আরবে বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগে জটিলতা

Slider সারাবিশ্ব

 

97682_f7

 

 

বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গৃহকর্মী নিয়োগ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশী পুরুষ কর্মী নিয়োগে সৌদি আরবের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের অনীহা দেখাচ্ছে। দেশটিতে নারী শ্রমিক যাওয়ার কথা ছিল ৫ লাখ। কিন্তু এখন পর্যন্ত গেছেন মাত্র ২ হাজার। একপ্রকার থমকে আছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এ পরিস্থিতিতে সৃষ্টি হয়েছে একটি কালো বাজার। আর বেড়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত খরচ। সৌদি গেজেটের এক এ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশির ভাগ বাংলাদেশী নারী শ্রমিক সৌদি আরবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত নন। কেননা তারা সৌদি আচার, সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন না। কাজ করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। একজন রিক্রুটমেন্ট নির্বাহী বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখ নারী গৃহকর্মী আসার কথা ছিল। তা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে উভয় দেশের দালালরা ফি বাড়িয়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে মাত্র ২ হাজার গৃহপরিচারিকা সৌদি আরব এসেছেন। ঢাকার একটি জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠানের মালিক শামসুল হক বলেন, সৌদি আরবের ‘কঠোর রীতি নীতি আর সংস্কৃতির কারণে অনেক বাংলাদেশী নারী দেশটিতে কাজ করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও জানান, দালালরা বর্তমান এ পরিস্থিতির সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে। ফলে রিক্রুটমেন্ট চার্জ বেড়েছে ৩৫০০ ডলার। এদিকে সৌদি আরবে একটি রিক্রুটমেন্ট ফার্মের মালিক আবু ফয়সাল বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ পেছানোর কারণে দালালদের আবির্ভাব হয়েছে। ফলে নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যয় সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ১০০০ ডলার থেকে বেড়ে ৩৫০০ ডলার হয়েছে।’ পরিস্থিতি জটিল হবার পেছনে আরেকটি কারণ হলো প্রতি তিনজন নারী শ্রমিকের সঙ্গে একজন পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ দেয়ার চুক্তি। কেননা অনেক সৌদি প্রতিষ্ঠান এখন বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে অনাগ্রহী। জেদ্দা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির রিক্রুটমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া আল মকবুল বলেন, সৌদি নিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশী গৃহপরিচারিকাদের নতুন আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যে ৯০ শতাংস ইস্যু করা ভিসা জমে আছে। তাছাড়া নিয়োগ প্রক্রিয়া ২ মাসের বেশি পেছালে শ্রম মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জরিমানার মুখোমুখি হওয়া এড়াতে চায় তারা। তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ভিসা ইস্যু করেছে। আর সৌদি আরব পৌঁছেছে মাত্র ২ হাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *