বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য আওয়ামী লীগ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটা আমার বিজয় নয়, এটা জনগণের বিজয়। কারণ জনগণের যে অধিকার আছে, সরকার গঠন করার ক্ষমতা আছে, জনগণ ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত হয়েছে। জনগণ স্বতঃস্ফুর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।‘
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরের দিন বিদেশী সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকের নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে এই বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যেখানে বিরোধী দল নেই, সেখানে বাংলাদেশকে একটি সক্রিয় গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে বিবেচনা করা যায় কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব দলের তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আছে। কেউ যদি নির্বাচনে অংশ নিতে না চায় তার মানে এটা নয় যে গণতন্ত্র নেই। মানুষ নির্বাচনে অংশ নিল কিনা সেটার ওপর নির্ভর করে যে গণতন্ত্র কী।‘
‘তারা কী করছে, আগুন দিয়ে মানুষ মারছে। ট্রেনে আগুন। এটা কী গণতন্ত্র? আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনগণকে হত্যা করা সন্ত্রাসী কার্যক্রম। দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করা উচিত নয়। জনগণ সেটা পছন্দ মতো করে না। আমরা আমাদের ধৈর্য ধারণ করেছি। তারা মানুষকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া ঠেকাতে চেয়েছে। কিন্তু তারা সেটা পারেনি। কারণ মানুষ সচেতন।‘
‘গণতন্ত্রের আর কোনো সংজ্ঞা আছে কিনা জানি না, যদি জনগণ অংশগ্রহণ করে তাহলে সেটিই মূল বিষয়। তারা নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে পারে নি।‘ তিনি বলেন।
বাংলাদেশে বর্তমানে বিরোধী দল নেই। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে তো বিরোধী দল থাকতে হবে। এ বিষয়ে শেষ হাসিনার মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি বিরোধী দল ছিলাম দীর্ঘ দিন ধরে। আমি রাজনৈতিক পরিবারে থাকায় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম। আমাদের দলকে আমরা সংগঠিত করেছি। বিরোধী দলকে তাদের নিজেদের সংগঠিত করতে হবে। আপনি আমাকে বিরোধী দল পছন্দ করতে বলতে পারেন না। অবশ্য আপনি চাইলে আমরা সেটা করতে পারি।কিন্তু সেটা আসলে বিরোধীদল হবে না।‘ সূত্র : বিবিসি