মধ্যপাড়া খনিতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

Slider জাতীয়

Modhopara_sm_906484061

পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে চাঁদা আদায় করাকে কেন্দ্র করে ট্রাক বন্দোবস্ত শ্রমিক সংগঠনের দুই পক্ষে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খনির প্রধান ফটকের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রাকে পাথর পরিবহন বন্ধ থাকে। পরে, দুপুর ১টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় পাথর পরিবহন শুরু হয়।

আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) মোসাদ্দেক হোসেন জানান, মধ্যপাড়া খনি থেকে পাথর পরিবহনের জন্য খনি এলাকায় চারটি ট্রাক শ্রমিক সংগঠন রয়েছে। এ গুলো হলো- ২৪৫ নম্বর ট্রাক বন্দোবস্ত শ্রমিক সমিতি, ১৬৬৫ নম্বর ট্রাক বন্দোবস্ত শ্রমিক সমিতি, আন্তঃজেলা ট্রাক বন্দোবস্ত শ্রমিক ইউনিয়ন ও বগুড়া আন্তঃজেলা ট্রাক বন্দোবস্ত শ্রমিক সমিতি।

এর মধ্যে ২৪৫ নম্বর সমিতির সভাপতি মতিয়ার মেম্বার, ১৬৬৫ নম্বর সমিতির সভাপতি মোমিন মেম্বার ও আন্তঃজেলা ট্রাক বন্দোবস্ত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কাশেম একটি পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন। অপর দিকে, বগুড়া আন্তঃজেলা ট্রাক বন্দোবস্ত শ্রমিক সমিতির নেতৃত্বে রয়েছেন মোশারফ ও সিদ্দিক।

এ দুই পক্ষ ভাগাভাগি করে মধ্যপাড়া খনিতে পাথর নিতে আসা ট্রাক থেকে ৬০০ টাকা (১০ চাকার ট্রাক) এবং ৪০০ টাকা (৬ চাকার ট্রাক) করে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে থাকেন। এ চাঁদা আদায় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কিছুদিন ধরে মনোমালিন্য চলে আসছে।

শনিবার সকালে মতিয়ার মেম্বার, মোমিন মেম্বার ও আবুল কাশেমের লোকজন চাঁদা আদায় শুরু করেন। সাড়ে ১০টার দিকে মোশারফ/সিদ্দিক গ্রুপের শ্রমিকরা চাঁদা আদায় করতে এলে প্রতিপক্ষের শ্রমিকরা বাধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে মোশারফ/সিদ্দিক গ্রুপের শ্রমিকদের ওপর মতিয়ার মেম্বার, মোমিন মেম্বার ও আবুল কাশেম গ্রুপের শ্রমিকরা পাথর নিক্ষেপ শুরু করলে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

১৬৬৫ নম্বর সমিতির সভাপতি মোমিন মেম্বার জানান, পাথরের আঘাতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *