আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এবং বিএনপি থেকে বের হয়ে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বাকযুদ্ধে নেমেছেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এমপি গাজীর বক্তব্যের জবাব দিতে রুপগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তৈমূর। নির্বাচনকে সামনে রেখে এই দুই প্রার্থী একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছে।
সোমবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হওয়ার পর রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। তৃণমূলের সাংগঠনিক বেইজ নেই। যাদের সাংগঠনিক বেইজ নাই তারা নতুন টিম হয়ে নির্বাচন কিভাবে করবে আমি চিন্তা করতে পারছি না। নির্বাচনের পরিবেশ সবসময় ভালো ছিল এবং ভালো আছে। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। রূপগঞ্জের জনগণ আমার সাথে আছে।
এর জবাবে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন তৈমুর বলেন, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে এমপি গাজীর কাছে জিম্মি জনসাধারণ। তার অত্যাচারে পারিবারিক অনুষ্ঠানও করা যায়নি। হামলার শিকার হতে হয়েছে তার অস্ত্রধারীদের হাতে।
গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতিক এমপির করা মন্তব্যের জবাবে বলেন, গাজী সাহেব আমাকে ভিত্তিহীন বলেছেন। তাকে নিয়ে মন্তব্য করে আমি নাকি নিজের অস্তিত্ব রাখছি। এ ধরনের কথা বলে তিনি নিজের গত ১৫ বছরের দুঃশাসন ঢাকতে চাচ্ছেন। তাই কে দোষী আর কে নির্দোষী তা প্রমাণ করতে উন্মুক্ত আলোচনায় বসার ব্যবস্থা করেন। সেখানে তৈমূর দোষী হলে আপনারা শাস্তি দিবেন।
তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচন বিতর্কিত করলে ক্ষতি যা হবার প্রধানমন্ত্রীরই হবেন। যার মূল ভুক্তভোগী তিনিই হবেন।
নারায়ণগঞ্জ-১ রুপগঞ্জ আসনে বৈধ অপর প্রার্থী হলেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা (স্বতন্ত্র), শাহাজাহান ভূঁইয়া (স্বতন্ত্র), হাবিবুর রহমান (স্বতন্ত্র), জোবায়ের আলম (স্বতন্ত্র), সাইফুল ইসলাম (জাপা), জয়নাল আবেদীন চৌধুরী (স্বতন্ত্র) এবং ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশের এ কে এম শহিদুল ইসলাম।