সাকিবের পাটকেলে ধরাশায়ী তামিম ইকবাল

Slider খেলা


তামিম ইকবালের দিকে বেশ বড় অভিযোগের তীর ছুড়লেন সাকিব আল হাসান। প্রকাশ্যেই তার পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘ইউ আর নট এ টিম ম্যান।’ তবে শুধু প্রশ্ন তুলেননি, দিয়েছেন উত্তরও। তামিমকে দলে না রাখার যে অভিযোগ ছিল তার দিকে, তার জবাবও দিয়েছেন সাকিব।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে হঠাৎ করেই খবর বেরোয়, ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা থাকায় বিশ্বকাপে মোট পাঁচ ম্যাচ খেলবেন তামিম। যার জের ধরে তার ঠাঁই হয়নি বিশ্বকাপ দলে। এরপর এক ভিডিও বার্তায় এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তামিম, তবে সাকিব দাবি করেছেন, তিনি শুনেছেন তামিম বেছে বেছে খেলতে চায় বিশ্বকাপে।

এদিকে তামিমের বিশ্বকাপে না থাকার দায়টা অনেকেই দিচ্ছিলেন অধিনায়ক সাকিবকে। গুঞ্জন ছিল সাকিবের চাওয়াতেই তামিমকে নেয়া হয়নি দলে! সত্যিই কি এতে সাকিবের ভূমিকা আছে? প্রশ্ন ছিল তার কাছে। উত্তরে সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি, অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে আমি দেখে আসছি একটা প্লেয়ার যে ভালো করছে, দলের জন্য কন্ট্রিবিউট করছে সেই প্লেয়ারকে বাংলাদেশ কখনো কোনোদিনই বাদ দেয়নি।’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘আমার তো দায়িত্ব না টিম সিলেক্ট করা। তাহলে তো এশিয়া কাপের একদিন আগে ক্যাপ্টেন অ্যানাউন্স করেই টিম দিয়ে দিতে পারতাম। এটা অনেক প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনেক ফ্যাক্ট চিন্তা করতে হয়, এমন না শুধু মাঠের পারফর্মেন্স। মাঠ, মাঠের বাইরে, ড্রেসিংরুম, টিম মিটিং, এটমস্ফিয়ার অনেক কিছু আসলে চিন্তা করে টিমটা করতে হয়। যদিও এই সবকিছুতে আমি এখন খুবই কম ইনভলভড।’

‘আনফিট’ তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে চাননি তিনি, এমন কথা অস্বীকার করলেও ব্যক্তিগত মত জানাতে গিয়ে সাকিব অবস্থান নিয়েছেন তামিমের বিপক্ষেই। এই সময় তিনি ভারতের কিংবদন্তী অধিনায়ক এম এস ধোনির তুলনা টেনে বলেন, ধোনি যদি বলে থাকে, ফিট না হলে খেলাটা প্রতারণা তার টিমের প্রতি, দেশের প্রতি; আমার মনে হয় মেনে নেয়া উচিত।’

এদিকে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তামিম ভিডিও বার্তায় জানান, বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচ খেলতে চাওয়ার খবর ভুল। তিনি এমন কিছু চাননি। তবে সাকিব বললেন তিনি স্পষ্ট না জানলেও শুনেছেন, তামিম বেছে বেছে ম্যাচ খেলতে চান বিশ্বকাপে। যা শুনে সাকিবের উত্তর, যদি এমনটা হয়, ‘ইয়্যু আর নট অ্যা টিম ম্যান।’

সাকিব আরো বলেন, ‘শুধু তামিম না, অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে হলেও একই বলতাম। যদি নিশ্চিত না থাকি কে কোন ম্যাচ খেলবে! উইলিয়ামসনের (নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক) উদাহরণ দিই, সে বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচ খেলবে না, কিন্তু এরপর থেকে খেলবে। এমনটা হলে আমারো সমস্যা নেই।’

‘কিন্তু যদি এমন হয়, সপ্তম ম্যাচে খেলবে কি না, তিন নম্বর ম্যাচে খেলবে কি না এবং সেটা জানি ম্যাচের দিন সকালে। মনে করি না এমন খেলোয়াড় আমার দরকার আছে! তবে এই বিষয়ে আমার কারো সাথে কোনো আলাপ হয়নি। তবে একটা জিনিস আমি অবশ্যই শুনেছি, সে বেছে বেছে খেলবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *