সাপকে বিশ্বাস করা গেলেও বিএনপিকে নয়- উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘গত কয়েকদিন আগে ছাত্রদলের ছয় নেতা অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার হয়েছে। গত সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আরেক নেতার কাছ থেকে অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধার করেছে প্রশাসন। কিসের কারণে তারা এই সকল অস্ত্র মজুদ করছে? আরেক দিকে মির্জা ফখরুল ও লাদেন রহমান (তারেক রহমান) জোট বেঁধে সিঙ্গাপুরে বসের ষড়যন্ত্র করছে। আসলে বিষধর সাপকে বিশ্বাস করা গেলেও বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না।’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবসের স্মরণে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ।
গত সাড়ে চৌদ্দ বছরেও বিএনপি আন্দোলনে সফল হয়নি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি’র এক নেতা বলেছেন ১০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। এরপরে সেপ্টেম্বর মাসে সময় দিয়েছেন। এখন আবার অক্টোবরের কথা বলতেছেন।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে নানক বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে। আপনারা নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না সেটা আপনাদের ব্যাপার। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। আর নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে এর জবাব রাজপথে দেওয়া হবে।’
আলোচনা সভায় বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘তারা আসলে চায় কি? একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, নাকি শেখ হাসিনার পতন? তারা যদি আরেকবার ষড়যন্ত্র করে, আগুন সন্ত্রাস করে, তাহলে ৭১ সালে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, খালেদা-নিজামী সরকারকে প্রতিরোধ করেছিলাম, স্বৈরশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে যেভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে ঠিক একইভাবে এ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রাজপথে যুদ্ধ করা হবে।’
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘এদেশে এখনো শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে, সকল ষড়যন্ত্রের প্রতিরোধ করে আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তাই আগামী দিনে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম নির্বাচনের আগে নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান। দলীয় কর্মসূচিগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের অনুরোধ জানান।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাগর আহম্মেদ শামীম।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা।