বর্তমানে ৪৩টি জেলায় রেলপথ রয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে ৭টি জেলা নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে চাইছে সরকার। সেগুলো হচ্ছে- কক্সবাজার, নড়াইল, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মাগুরা ও বাগেরহাট। রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী এভাবে রেল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হচ্ছে। দেশের সব জেলাকে এর আওতায় আনতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বর্তমানে রেলওয়ের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের সমীক্ষা কার্যক্রম চলমান। সেগুলোর বাস্তবায়ন হলে আরও ৮টি জেলা রেলপথের আওতায় আসবে। সাতক্ষীরা, বরিশাল, রাঙ্গামাটি, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও মেহেরপুরকে সংযুক্ত করতে সমীক্ষার কাজ চলছে। রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যানের মেয়াদ ধরা হয়েছে ৩০ বছর। ২০১৬ থেকে ২০৪৫ সাল। এ সময়ের মধ্যে লক্ষ্মীপুর, শেরপুর, মানিকগঞ্জ, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলাও নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। তার মানে ২০৪৫ সালের মধ্যে ৬৪ জেলা রেলপথের আওতায় আসছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান আমাদের সময়কে বলেন, পর্যায়ক্রমে সব জেলা রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। সড়কপথের মতো রেলপথ থাকবে সব জেলায়। প্রাথমিকভাবে ৭টি জেলা ট্রেন সুবিধা পাবে।
জানা গেছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোয় পর্যায়ক্রমে দ্রুতগতির রেলপথ স্থাপন করে হাইস্পিড রেলপথ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সেকশনে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমান সরকার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনেও বদ্ধপরিকর। এ জন্য কুলাউড়া-শাহবাজপুর ও ফেনী-বিলোনিয়া এবং নতুন ১টি ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট আখাউড়া-আগরতলা রেল চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার ও নেপালের মধ্যে রেল নেটওয়ার্ক বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।