কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। তবে যে পরিমাণে বেড়েছে, তার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য কাঁচামরিচের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের অবশ্যই ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে কাঁচামরিচ, আদা, রসুন ও চিনির মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সুপারশপ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া অভিযান, সুপারশপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও আলোচনায় পরিলক্ষিত হয় কতিপয় সুপারশপ কাঁচামরিচ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কৃষি বিপণন আইন-২০১৮ অনুযায়ী নির্ধারিত সর্বোচ্চ লাভের চেয়ে বেশি লাভে বিক্রয় করেছে, যার প্রভাব সামগ্রিক কাঁচামরিচের বাজারকে অস্থিতিশীল করেছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, এসব সুপারশপকে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শোকজ করা হবে এবং শোকজের তিন দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে হবে।
সভার শুরুতে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক (অভিযোগ) মো. মাসুম আরেফিন এবং ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বিগত দিনগুলোতে কাঁচামরিচের ওপর পরিচালিত অভিযানের সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরেন। স্বপ্ন, প্রিন্সবাজার, ডেইলিশপ
ও আগোরা সুপারশপের প্রতিনিধিরা তাদের সুপারশপে গত ২৬ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত কাঁচামরিচ ক্রয়-বিক্রয়ের উপাত্ত সভায় তুলে ধরেন। কারওয়ানবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক জানান, কারওয়ানবাজারের আড়তদাররা শুধু কমিশন পান, লাভ হয় বেপারিদের।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক, ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, এনএসআইয়ের প্রতিনিধি, ক্যাবের প্রতিনিধি, স্বপ্ন, আগোরা, ডেইলিশপ, ইউনিমার্ট, আমানাবাজার, মীনাবাজারসহ বিভিন্ন সুপারশপ প্রতিনিধি, কারওয়ানবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা।