ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় নাসির উদ্দিন (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আটকের সময় এক পুলিশ সদস্য আহত হন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভাঙচুর করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। নাসির হরিপুর উপজেলার গেদুরা মারাধার গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে নাসির উদ্দিন দাবি করেছেন, কারাগারে যাওয়ার জন্য তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরী হরিকান্ত রায় বলেন, ‘সকালে কিছু একটা ভাঙার শব্দ পেয়ে সামনে এগিয়ে যায়। এ সময় দেখি- এক যুবক বেলচা দিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় কক্ষগুলোর জানালার কাঁচ ভাঙচুর করছেন। বাধা দিতে গেলে তিনি আমার ওপর আঘাত করার চেষ্টা করেন। এ সময় ঢাকা থেকে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে সদর থানায় ফিরছিলেন এসআই আল মামুন। তিনি নাসির উদ্দিনকে আটকের চেষ্টা করেন। এ সময় বেলচার আঘাতে মামুন আহত হন।’
প্রত্যক্ষদর্শী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মোটরসাইকেলে নাসির উদ্দিন নামে ওই যুবক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আসেন। সিঁড়ি দিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ওঠেন। কিছুক্ষণ পরেই কাচ ভাঙার শব্দ শোনা যায়। জেলা প্রশাসক কার্যালয়, সভাকক্ষ, বঙ্গবন্ধু অদম্য কর্নারসহ ১২ কক্ষের ২৯টি জানালার কাচ ভাঙচুর শেষে বেলচা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। পরে পুলিশ তাকে আটক করে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘নাসির উদ্দিনের কাছ থেকে জানা গেছে তিনি একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। তার ইচ্ছে জেলে যাবে; সে কারণে নাসির জেলা প্রশাসক কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন। তারপরও এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে কি না তা আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি।’
জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার পেছনে অন্য কিছু রয়েছে কি না সেটি বের করার চেষ্টা করা হবে।’