নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিরতায় যখন নাভিশ্বাস ভোক্তার, তখনই আগুন কাঁচা মরিচের বাজার। মাসখানেক আগেও মাত্র ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া মরিচ এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। তবে বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টি কমলে দাম কমবে।
এদিকে মরিচের ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৫ জুন থেকে মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তবু কমছে না মরিচের দাম। এরমধ্যে দুইদিন আমদানির পর ঈদের কারণে আপাতত বন্ধ রয়েছে মরিচ আমদানি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এপ্রিল ও মে মাসে খরার পর হঠাৎ অতিবৃষ্টিতে বেশির ভাগ মরিচগাছ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণে অধিকাংশ গাছে ফলন নেই বললেই চলে। এর ওপর টানা বৃষ্টিতে মরিচ সংগ্রহের কাজটি কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে মরিচের দাম বেড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘১০ দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। এখন তা ৮০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। অর্থাৎ বেড়েছে প্রায় ৬০০ টাকা।
গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তার মরিচের দোকানদার আলামিন বলেন, ‘অতি বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের গাছ পচে যাওয়ায় সরবরাহ কম থাকায় এই পণ্যটির দাম বেড়েছে। আমরা বেশি দামে কিনছি, কমেতো বেচতে পারি না। তাছাড়া ঈদের কারণে মরিচ আজকে আসে নাই।’
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শনিবার সকালে সরেজমিনে শৈলকুপার পৌর বাজারে গিয়ে কাঁচা মরিচের এ দাম দেখা গেছে। এ বিষয়ে শৈলকুপা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে যে মরিচ আসত, তা এখন আর আসছে না। এছাড়া প্রচণ্ড তাপদাহে মরিচের গাছ বাড়েনি। এরমধ্যে বৃষ্টিতে অনেক গাছ মারা যাচ্ছে। এ কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ অনেক কমে গেছে।
এদিকে বিপর্যয়ের পাশাপাশি টানা বৃষ্টির কারণে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হওয়ায় পাবনার পাইকারি বাজারে দফায় দফায় বাড়তে থাকা কাঁচা মরিচের দাম ৬০০ টাকায় পৌঁছেছে। আর ওখানকার খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি মরিচ কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৭০০ টাকার বেশি।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, খরার কারণে এবার মরিচের উৎপাদন কম হয়েছে। তবে গাছে এখন ফুল আসছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শিগগিরই ফলন বেশ বাড়বে।