যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন করছে মুসলিম সম্প্রদায়। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঈদের খুশিতে বাগড়া দিয়ে বসেছে বৃষ্টি। এদিন সকাল থেকেই রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। তাই দিনব্যাপী বৃষ্টির আশঙ্কায় কপালে ভাঁজ উঠছে সবার। ঈদের দিন রোদের দেখা মিলবে কি না, সে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মনে।
অবশ্য এ ব্যাপারে আশার কথা শুনিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক। গতকাল বুধবার রাতে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় আকাশ মেঘলা থাকলেও দুপুরের পর ফাঁকে ফাঁকে রোদ উঠতে পারে। তবে সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’
মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। এ ছাড়া অন্যত্র বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঢাকাসহ ও দেশের মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বেশি। বরিশাল ও চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্ব এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। এ ছাড়া অন্যত্র বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
অধিদপ্তর আরও জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।