বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার সম্পূর্ণভাবে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার ও শ্রমিকদের বাঁচার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এর মধ্যে আবার এমন এমন কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। আপনারা দেখেছেন, আমেরিকা থেকে ফিরে এসে তিনি বললেন, আমেরিকা তাকে সরাতে চায়। এটি তো প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা আশা করি না।’
তিনি বলেন, ‘তার মানে তিনি বুঝে গেছেন, আন্তর্জাতিক সিস্টেম তার পক্ষে নেই। বাংলাদেশেও তার সমর্থন নাই। কারণ বাংলাদেশের মানুষ একটাই কথা বলছে, ‘‘আপনি এই মুহূর্তে চলে যান’’।’
আজ শুক্রবার শ্রমিক-কর্মচারী পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে ‘বিদ্যুতের লোডশেডিং, দ্রব্যের মূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহজাদপুরের সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে এই সমাবেশ হয়। পরে মালিবাগ আবুল হোটেল মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা হয়। এতে শ্রমিক দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিষ্কার কথা, পদত্যাগ করে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। কারণ এদেশে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।’
‘আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়’-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা বলে তাদের সময় না কি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এই সরকারের কোনো কালে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, কোনো কালেই সুষ্ঠু হয়নি। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে না ‘
ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার জনগণের আন্দোলনকে ভয় পায় বলেই আমাদের নেতাদের আটকিয়ে রেখেছে। আপনারা জানেন, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, তাকে দিনের পর দিন আটকিয়ে রেখে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নাকে আটকিয়ে রেখেছে, আরও অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটকিয়ে রেখেছে। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি এদেশে গণতন্ত্রের মাতা তাকে অসুস্থ অবস্থায় আটক করে রাখা হয়েছে।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, শ্রমবিষয়ক সহ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ উজ জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ইশরাক হোসেন, যুবদলের মামুন হাসান প্রমুখ নেতারা বক্তব্য দেন। পদযাত্রায় শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ আনোয়ার হোসাইন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কামরুজ্জামান রতন, মহানগর উত্তর বিএনপির আমিনুল হকসহ শ্রমিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।