ধারাবাহিক প্রতিবেদন: গাজীপুর-৪ ভূমি রেজিষ্ট্রেশনে প্রতারণা নেপেথ্যে সাংবাদিক-কাম দলিল লেখক

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ ঢাকা ফুলজান বিবির বাংলা সারাদেশ

DSC07154

গ্রাম বাংলা টিম: জেলার সকল সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে ভূমি রেজিষ্ট্রেশনে প্রতারণা করে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার রীতি এখন সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। ফলে জেলার সকল রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এই দূর্নীতি ও অনিয়মকে ধামাচাপা দিচ্ছেন একজন করে সাংবাদিক কাম দলিল লেখক।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর জেলার ৬টি রেজিষ্ট্রি অফিসে কর্মরত সাব-রেজিষ্ট্রারগন শতাংশ হিসেবে ঘুষ নিয়ে জমির রীতি প্রকৃতি পাল্টিয়ে প্রতিদিন শত শত দলির রেজিষ্ট্রি করছেন। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সূত্র জানায়, প্রত্যেক মৌজার জমি রেজিষ্ট্রেশনে শতাংশ প্রতি একটি নির্ধারিত হারে রাজস্ব রয়েছে। এই ক্ষেত্রে জমির ধরণ ও প্রকৃতি অনুসারে সরকারী রাজস্ব নির্ধারণ করা আছে। কোন জমি ধরণ চালা প্রকৃতির হলে বাইদ না নালা উল্লেখ করে রেজিষ্ট্রি করা হয়। এতে শতাংশ হিসেবে সরকার অনেক টাকা কম রাজস্ব পায়। জমি গ্রহীতারা কম টাকায় জমি রেজিষ্ট্রি করতে এই রীতি প্রকৃতি পাল্টানোর প্রক্রিয়া অবলম্বন করে থাকেন। এই পদ্ধতিতে দলিল লেখক, সাবরেজিষ্ট্রার ও রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরাসির জড়িত।

রেজিষ্ট্রি অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, টাকার বিনিময়ে জমি দাতার বয়স কম বেশীও করা যায়। নাবালককে সাবালক দেখিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি করা কোন বিষয় নয়। এই ক্ষেত্রে বড় অংকের অর্থ লেনদেন করতে হয়।

সূত্র জানায়, কোন বিরোধপূর্ন জমি রেজিষ্ট্রি করার ক্ষেত্রে অনেক বড় অংকের অর্থ লেনদেন হয়। সরকারী জমি ঘঁষা মাঝার মাধ্যমে রেকর্ড পর্চা সংগ্রহ করেও রেজিষ্ট্রি করা যায়। রেজিষ্ট্রেশন হওয়ার পর মূল ভলিউমে ঘঁষামাঝার ব্যবসা এখন রমরমা। কোন পক্ষ রেজিষ্ট্রি  অফিসে যোগাযোগ করলে ভলিউমের ঘষাঁমাঝার কাজটি সেরে ফেলতে পারবেন।

সূত্রমতে, একজন সাবরেজিষ্ট্রার প্রতিদিন বেশ কয়েক লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বাসায় ফেরেন। প্রতিদিন ঘুষের টাকা ভাগাভাগীর ক্ষেত্রেও একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। ওই সিন্ডিকেটের হোতারা ঘুষের খবর ধামাচাপা দিতে কাজ করেন। রেজিষ্ট্রি অফিসে ঘুষের খবর গোপন রাখতে প্রত্যেকটি রেজিষ্ট্রি অফিসে একজন করে সাংবাদিক নামধারী ব্যাক্তি দায়িত পালন করেন। দায়িত ¡প্রাাপ্ত ওই ব্যাক্তি সাংবাদিক পরিচয়ের একটি পরিচয়পত্র বহন করেন। এই পরিচয়পত্র দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক-কাম দলিল লেখক ভূমি রেজিষ্ট্রেশর অফিসের অনিয়ম ও দূর্নীতির দৃষ্টিগোচর করে রাখেন।
চলবে—

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *