মধ্যবিত্তরা দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে: জি এম কাদের

Slider রাজনীতি


জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আয় দিয়ে মানুষের সংসার চালছে না। মধ্যবিত্তরা এখন দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে।

আজ শনিবার দুপুরে নরসিংদী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট কখনোই জনবান্ধব হতে পারে না। যে ট্যাক্স বিদ্যমান আছে তাই দেশের মানুষ দিতে পারছে না। আরও ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। মানুষের আয় বাড়েনি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করে তারা চাকরি হারাচ্ছে। সরকার করোনা আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দোহাই দিয়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে। এখন আইএমএফের পরামর্শে আরেক দফা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। সব কিছুর দাম বাড়াচ্ছে। সারাদেশে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে, এ দায় সরকারের।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, বেশিরভাগ কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে বিদ্যুতের অভাবে। শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে কোটি কোটি টাকা তসরুপ করা হচ্ছে। গোঁজামিল দিয়ে দেশ চলছে। সরকারের হাতে বৈদেশিক মুদ্রা নেই। বকেয়া ঋণ পরিশোধ করলে সরকারের হাতে আর টাকা থাকবে না। এ কারণে, বিদেশ থেকে মাল আনতে পারছে না সরকার। দেশের মানুষ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখেননি কিন্তু সরকার কয়লার বিল বকেয়া রেখেছেন। মানুষের দুর্দশার জন্য বর্তমান সরকার দায়ী। সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের নামে লাখ-কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এ কারণেই বিদ্যুৎ দিতে পারছে না সরকার।

এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, দেশের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন বা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চায় না। দেশের মানুষ চায় ভোটাধিকার। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে চায়। গ্রামের মানুষ দিনে ৩ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পায় না। দেশের মানুষ মুক্তি চায়। বিদ্যুতের নামে সরকার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে কিন্তু বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। আবার বিএনপি বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছিল। এই দুটি দলকে দেশের মানুষ আর চায় না।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব -ফখরুল ইমাম এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য – নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন।

নরসিংদী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ওমর ফারুক মিয়ার সঞ্চালনায় স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামীম রানা ভূঁইয়া, হাজী মো. নূরুল ইসলাম, আব্দুল কাদির কিবরিয়া, দেলোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট সারোয়ার মোল্লা, শফিকুল ইসলাম সুমন, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন, মো. শহিদুল ইসলাম, আক্কাস আলী, দেওয়ান আলী গাজী, হাবিবুর রহমান, হারুন অর রশিদ হিরা, আবুল হাসনাত মাসুম, নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, জাকির হোসেন মৃধা।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, হেনা খান পন্নী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন, খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, যুগ্ম মহাসচিব শামসুল হক , ফখরুল আহসান শাহজাদা, বেলাল হোসেন, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মাখন সরকার , মাসুদুর রহমান মাসুম, এম এ রাজ্জাক খান, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম বাছেদ, এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক-সমরেশ মণ্ডল মানিক, শাহজাহান কবির, সহিদ হোসেন সেন্টু, শাহনাজ পারভীন, কেন্দ্রীয় নেতা – আবু সাঈদ স্বপন, নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, তাসলিমা আকবর রুনা, সোলায়মান সামি, মহিউদ্দিন ফরাজী, জেসমীন নূর প্রিয়াংকা, মিথিলা রোওজা, শাহীন আরা সুলতানা রিমা, কাজী মামুন, নাজনীন সুলতানা তুলি, জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম খান জুয়েল প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *