জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট দেশ গড়ে তুলতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

Slider শিক্ষা


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট জনসংখ্যা এবং স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা। আমরা স্মার্ট জনশক্তি তৈরি করতে চাই।’

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আজ মঙ্গলবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এদিন বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, ‘মানুষকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই। যাতে তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অবদান রাখতে পারে। স্মার্ট বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হলো বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য সর্ব ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা।’

সব ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির ব্যবহারকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিটিটাল ল্যাব বা কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করে দিচ্ছি। সারা দেশে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং ইনকিউবেশন সেন্টার গড়ে তুলছি। সেই সাথে আমরা হাইটেক পার্ক গড়ে তুলছি।’

সমাবর্তনে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে ব্রাহিম ত্বহা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৫তম সমাবর্তনে ২০১৮ সালের বিভিন্ন প্রোগ্রামের প্রায় ৫৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এছাড়া এদের সঙ্গে সমাবর্তনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা শিক্ষার্থীরাও।

এ সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট, সিভিল এন্ড ইনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনিক্যাল এন্ড ভোকেশনাল এডুকেশন প্রোগ্রামের মোট ছয় জন শিক্ষার্থীকে সিজিপিএর ভিত্তিতে স্বর্ণ পদক দেওয়া হয়।

এছাড়া সমাবর্তনে ওআইসি স্বর্ণ পদক অর্জন করেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক। তার সিজিপিএ ৩.৯৯। যা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছরের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আইইউটি বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) হাতে। এটি সম্পূর্ণ সেশনজটমুক্ত একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চার বছর মেয়াদি কোর্স কখনও সময়ের বেশি লেগে যায়নি। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *