প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার রেশ না কাটতেই ক্যাটাগরি চার মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী টাইফুন মাওয়ার আঘাত হানতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপে।
প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মাওয়ার গুয়াম দ্বীপে স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ২টায় সরাসরি আঘাত হানার কথা রয়েছে।
গুয়ামের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ পেট্রিক ডলের বরাতে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও আল-জাজিরা জানিয়েছে ভূমিতে আঘাত হানার সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার। সরাসরি আঘাত না করলেও দ্বীপের খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করতে পারে শক্তিশালী টাইফুনটি।
গত ২০ বছরের মধ্যে এই দ্বীপে আঘাত হানা এই ঝড়টি হতে পারে সবচেয়ে শক্তিশালী।
কর্তৃপক্ষ উপকূলীয় বাসিন্দাদের অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং দ্বীপজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে বলে জানিয়েছে।
গুয়ামের জনসংখ্যা দেড় লাখের বেশি, যাদের মধ্যে অনেকেই উপকূলীয় বাসিন্দা।
গুয়ামের অন্য বাসিন্দা যারা কংক্রিট বা কংক্রিট-রিইনফোর্সড স্ট্রাকচারে থাকেন না তাদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
গভর্নমেন্ট লু লিওন গুয়েরেরো দ্বীপের নিচু উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার রাতে গুয়ামের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এবং ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিকে ত্রাণ প্রচেষ্টায় সহায়তা করার নির্দেশ দেন তিনি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল পর্যন্ত জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর ধারণ ক্ষমতার ২৬ শতাংশ পূর্ণ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি ইতিমধ্যে খুব বিপজ্জনক হওয়ার কারণে বুধবার অঞ্চলটিতে কোনও ফ্লাইট যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।
গুয়াম বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলেছে, মেরামতকারী ক্রুদের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট মোকাবিলা করা খুব বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে এবং আরও বিভ্রাটের শঙ্কা করা হচ্ছে।
দ্বীপটি ছেড়ে যেতে ইচ্ছুক পর্যটকদের মঙ্গলবার উড়োজাহাজে করে চলে যেতে বলা হয়। তবে বেশিরভাগ বাসিন্দারা, যারা এই ধরনের ঝড়ের সাথে অভ্যস্ত, তাদের টাইফুনে সর্তক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।