মোখার রুদ্ররূপে বাড়ছে ভয়

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

প্রবল থেকে পরিণত হয়েছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ॥ বাতাসের গতি ২০০ কিলোমিটারের বেশি ॥ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটারের গতি নিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোকা। গতিবেগ ২০০ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কোনো কোনো সংস্থা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন।

আবহাওয়াবিদরা যেমনটা আভাস দিয়েছিলেন, সেভাবেই উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকের গতিপথ বদলে বাঁক নিয়ে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে এ ঘূর্ণিঝড়। গতি ও গতিপথ ঠিক থাকলে আগামীকাল রবিবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার সময় প্রচুর বৃষ্টি ঝরাবে মোকা। সেই সঙ্গে উপকূলীয় নিচু এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ২ দশমিক ৭ মিটার বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে মোকার প্রভাবে কক্সবাজারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বইছে মাঝারি বাতাস। সৈকতে ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মোকার সবশেষ অবস্থান তুলে ধরেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোকা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুপার সাইক্লোন হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে মোকা উপকূলে আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার।

আজিজুর রহমান বলেন, ‘এটা সুপার সাইক্লোন হতেও পারে, যদি এগোনোর গতি আরও সেøা হয়ে যায়। ১৪ মে দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম করবে বলছি আমরা, এটা আরও দেরি হতে পারে। সব কিছু নির্ভর করছে সাইক্লোন বডির মুভমেন্টের ওপর।’

এ আবহাওয়াবিদ মনে করেন, ‘ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের মূল অংশটা যাবে সেন্টমার্টিন এলাকায়; সে জন্য টেকনাফ-সেন্টমার্টিন উপকূল ঝুঁকিতে রয়েছে বেশি।’

আজিজুর রহমান বলেন, মোকার প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আজ শনিবার সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি ও ঝড়োবাতাস শুরু হতে পারে। তখন থেকে ওই সব এলাকায় এর প্রভাব শুরু হবে। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বইবে দমকা বাতাস। পর দিন (রবিবার) উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বিশেষ করে কক্সবাজার জেলা পুরোটাই এ মোকার আওতায় থাকবে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে উপকূলে আঘাত হানার সময় মোকার বাতাসের শক্তি থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়োহাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

তবে জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার বলছে, মোকা উপকূলে আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিবাতাসের শক্তি ২০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিসের বুলেটিন অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। সে সময় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা আর ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

এদিকে গতকাল রাত ৯টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে।

এদিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ছে। তবে হালকা বৃষ্টি ও সতর্কতা সংকেত উপেক্ষা করে সাগরে নামছেন কিছু পর্যটক। লাইফ গার্ডের নির্দেশনাও মানছেন না তারা। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কক্সবাজার পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমবিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, মোকার প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। ফলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পাহাড়ের বসতিগুলো ঝুঁঁকিতে পড়বে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায় আমরা সব সময় সজাগ আছি। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।

মোকার খবরে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফের পথে রওনা হয়েছেন সেখানকার অনেক বাসিন্দা। দ্বীপের একজন সংবাদকর্মী বলেন, দুই দিনে প্রায় এক হাজার বাসিন্দা দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফসহ বিভিন্ন উপজেলায় চলে গেছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও ডাকবাংলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রায় সাত হাজার লোকজনের জন্য ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার ও অন্য জিনিসপত্র মজুদ করা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, উখিয়া ও টেকনাফে ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকার সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে ক্যাম্পগুলোতে নানা প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে মোকা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ঝড়ের কারণে যদি কোথাও বিদ্যুৎ চলে যায় এবং মোবাইল ফোনের সংযোগ যদি না থাকে, তবে তারা যেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেদের কাজগুলো করে যান, সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে ২২ জেলার ডিসি ও ইউএনওরা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান।

এদিকে মোকার কবল থেকে দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় জুমার নামাজের পর মসজিদে মসজিদে মোনাজাত হয়েছে। গতকাল জুমার নামাজে ঢাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকার মসজিদে এ মোনাজাত হয়।

সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হলে সেটি হয় সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড়। বাতাসের গতিবেগ ৮৮ থেকে ১১৭ হলে তাকে বলা হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আর বাতাস যদি ১১৭ থেকে ২২০ কিলোমিটার বেগে বয়, তবে তা হয় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়। আর ২২০ কিলোমিটারের ওপরে বাতাসের গতিবেগ উঠলে তাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়।

রোহিঙ্গা শিবিরে আইওএমের ৪৫ আশ্রয়কেন্দ্র

মোকা মোকাবিলায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ স্থানীয়দের জন্য ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা- আইএমও। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, তারা ইতোমধ্যে দুই হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবককে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ মোবাইল মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রেখেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় এসব অবকাঠামো শক্তিশালী করা হচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশে আইওএম মিশনপ্রধান আবদুসাত্তর এসোয়েভ বলেন, সরকারি ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে আইওএম স্বেচ্ছাসেবকদের দলটি প্রস্তুত রয়েছে। সব ধরনের সহযোগিতার জন্য তারা প্রস্তুত।

লাইটারেজ জাহাজে ভরে গেছে কর্ণফুলী নদী

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, গতকাল বিকাল থেকে সেখানকার আকাশে মেঘ জমতে থাকে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেতের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-২’ জারি করে গতকাল বিকালেই।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লাইটারেজ জাহাজগুলো নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে কর্র্ণফুলী নদীতে ঢুকে গেছে। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ জেটিতে ভেড়ানো জাহাজগুলোর ইঞ্জিন সচল রাখতে বলেছে যেন তীব্রতা বাড়লে জাহাজগুলো সাগরে নিরাপদে চলে যেতে পারে। একইভাবে গভীর সমুদ্রে অবস্থিত বড় জাহাজগুলোকে (মাদার ভেসেল) নোঙর তুলে রাখতে বলা হয়েছে, যাতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভেসে যেতে পারে।

বন্দর সচিব বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কতা সংকেত বাড়লে পর্যায়ক্রমে জাহাজ চলাচল ও পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়া হবে, যাতে বন্দর জেটি, চ্যানেল, হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

বন্দরের নিজস্ব সংকেত অনুযায়ী ‘অ্যালার্ট-৫’ জারি হলে সব জেটি খালি করে দিতে হবে। এটা মহাবিপদ সংকেত হিসেবে দেখা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভার) জানান, মোকা মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। গতকাল বিকালে সাভারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

ভোলা (উত্তর) প্রতিনিধি জানান, মোকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল সকাল থেকে রেডক্রিসেন্ট, সিপিপি ও কোস্টগার্ডের বেশ কয়েকটি টিম মানুষকে সচেতন করেছে।

রেডক্রিসেন্ট ভোলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা মানুষকে সচেতন করছি, যাতে মানুষজন ঝড় সম্পর্কে জানতে পারবে। সতর্কতা সংকেত বাড়ানো হলে আমরা প্রচার এবং মাইকিং শুরু করব।

জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন, ‘৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১৩ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন।

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, মোকার কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা। অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের রুম ফাঁকা। ফলে অলস সময় পার করছে পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীরা।

আবাসিক হোটেল খান প্যালেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল খান জানান, একদিকে অসহ্য গরম, অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে কুয়াকাটায় পর্যটকের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি জানান, ইতোমধ্যে জেলার ৮৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৭১৮ স্কুল হয়েছে। কলেজকে বিকল্প আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। সাতক্ষীরা উপকূলের আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জে বেড়িবাঁধের ঝুঁঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করে সংস্কারসহ পর্যাপ্ত জিও বালুর বস্তা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলো জরুরি সভা করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *