আরও অগ্রসর হচ্ছে ‌‘মোখা’, সব বিভাগে বৃষ্টির আভাস

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি


দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়া ‘মোখা’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশের সব বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ শুক্রবার ভোর রাত ৩টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রকাশিত ৯ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, এটি গভীর রাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘণীভূত হতে পারে।

এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

একই সঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, সন্দ্বীপ, রাঙামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও হাতিয়া অঞ্চলসহ ঢাকা, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সংস্থাটি জানায়, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝাড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে দেশের বজ্রসহ বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেতে পারে।

অপরদিকে, কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বাংলাদেশের সব উপকূলীয় এলাকা ১০ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হতে পারে।

ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপর দিয়ে আঘাত করলেও পুরো বাংলাদেশের সব উপকূলীয় জেলায় ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হবে।

ঘূর্ণিঝড়টি যাত্রাপথ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ভৌগলিক অবস্থান ও আকৃতির কারণে এটি হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *