রাঙামাটিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হাউজবোটে রাত্রিযাপন

Slider চট্টগ্রাম

পর্যটককেন্দ্রিক হাউজবোটে এতোদিন রাঙামাটি পিছিয়ে থাকলেও তরুণদের হাত ধরে গত কয়েক বছরে বেশ এগিয়েছে এই শিল্প। কাপ্তাই হ্রদে জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় একের পর এক যোগ হচ্ছে হাউজবোট। এবার বার্গি লেক ভ্যালিতে যুক্ত হলো কম খরচে রাত্রিযাপনের সুবিধা নিয়ে হাউজবোট সেবা।

কাশ্মীরের ডাল লেকের আদলে কাপ্তাই লেকে নামানো রয়েছে বার্গি লেক ভ্যালি প্রিমিয়াম হাউজবোট। এই হাউজবোটে কম খরচে রাত্রিযাপন করতে পারবে পর্যটকরা। দ্বিতল এই বোটে রয়েছে ১২টি কক্ষ। নিচ তলার রুমের প্যাকেজ জনপ্রতি ২ হাজার টাকা। দ্বিতীয় তলার রুমের প্যাকেজ জনপ্রতি ১ হাজার ৬০০ টাকা। প্রতি রুমে দুজন করে থাকার ব্যবস্থা আছে।

বোট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্থানীয় উপকরণ কাঠ ও বাঁশ। স্থানীয় উদ্যোক্তরা এভাবে এগিয়ে এলে হাউজবোট কেন্দ্রিক পর্যটক বিকাশের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা। রাঙামাটির শহরসহ আশপাশে কাপ্তাই হ্রদে এখন এমন হাউজবোট রয়েছে আরও নয়টি।

পর্যটন সংশ্লিষ্টখাতের ব্যবসায়ী ললিত সি চাকমা বলেন, সারাদেশের মানুষের কাছে রাঙামাটি অন্যরকম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। তাই নতুন নতুন উদ্যোগ কাজে লাগাতে পারলে আরও বেশি পর্যটকদের রাঙামাটি নিয়ে আসা সম্ভব। যেভাবে ব্যবসায়ীরা এগিয়ে যাচ্ছে তাতে করে সরকারি সহায়তা বেশি প্রয়োজন।

বার্গি লেক ভ্যালি প্রিমিয়াম হাউজ বোটের ম্যানেজার সাগর মারমা জানান, অন্য হাউজবোটগুলোর মতো এটিতে করে হ্রদে বেড়ানো যাবে না। এটি তীরে থাকবে। কম খরচে হ্রদের পাশে হাউজবোটে সময় কাটানোর জন্য একটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে মোট ১২টি কক্ষ রয়েছে। নিচ তলার রুমের প্যাকেজ জনপ্রতি ২ হাজার টাকা। দ্বিতীয় তলার রুমের প্যাকেজ জনপ্রতি ১ হাজার ৬০০ টাকা। প্রতি রুমে দুজন করে থাকার ব্যবস্থা আছে। সন্ধ্যার নাস্তা, রাতে চিকেন বারবিউ কিউয়ের ব্যবস্থা, সকালে ডিম খিচুরির ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যটকরা ৩০ মিনিট কায়াকিং করতে পারবেন এই খরচের মধ্যে।

বার্গি লেক ভ্যালি প্রিমিয়াম হাউজবোট উদ্যোক্তা বাপ্পী তঞ্চ্যাগা বলেন, বার্গিতে আমাদের যে রিসোর্ট রয়েছে সেগুলোর ভাড়া ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা। অনেকে রাঙামাটি ভ্রমণ করতে চান। কিন্তু বাজেটের কারণে রাঙামাটি আসতে পারেন না। তাদের জন্য আমাদের এই ব্যবস্থা। ২ হাজার টাকার মধ্যে থাকা-খাওয়া সবকিছুই পাচ্ছেন।

রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে-সেখানে হাউজবোট হলে লেকের পরিবেশ নষ্ট হতে পারে। তাই আমি মনে করি হাউজবোট তৈরি করেই যে কেউ যাতে হ্রদে নামাতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে যাতে হাউজবোট হ্রদে নামানো না হয়, সেই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *